1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রক্ত লাগা পোশাক বাতিল!

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৫ এপ্রিল ২০১৪

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিক নিরাপত্তা এবং শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় সরকার এবং পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-র উৎসাহের অভাব আছে বলে মনে করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর রবার্ট মেনেন্দেজ৷

https://p.dw.com/p/1BoQh
Bangladesch Tote bei Einsturz von Textilfabrik
ছবি: picture-alliance/dpa

মার্কিন ডেমোক্র্যাট দলের সিনেটর ও সিনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির এই চেয়ারম্যান ঢাকায় এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকার ও পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য স্বাধীন শ্রমিক ইউনিয়ন তৈরির ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে৷'' তাঁর কথায়, ‘‘এক বছর আগে এই সপ্তাহেই বাংলাদেশে ঘটে যায় গার্মেন্টস শিল্পের অন্যতম বড় দুর্ঘটনা৷ রানা প্লাজা ভবন ধসে মারা যায় ১,১৩০ জনেরও বেশি মানুষ৷ আর এ ঘটনার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা (জিএসপি) বাতিল করে দেয়৷ তাই বাংলাদেশ যদি শ্রমিকদের অধিকার ও নিরাপত্তার উন্নয়ন না ঘটায়, তবে এটা ফেরত দেবে না যুক্তরাষ্ট্র৷''

কারখানার নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আইএলও-র নেয়া সর্ববৃহৎ কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে মেনেন্দেজ বলেন, ‘‘নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও তার পাশাপাশি ভবন ধসের ঘটনায় নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি অগ্রাধিকার পাচ্ছে সবচেয়ে বেশি৷ যদিও বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের ইউনিয়ন করতে বাধা দিয়েছে কিংবা চাকরি থেকে ছাঁটাই করেছে৷ এমনকি কারখানার উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা ইউনিয়ন নেতাদের ওপর হামলা চালিয়েছে৷''

গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-র অনেকেই এখনো শ্রমিক ইউনিয়ন তৈরিতে অনিচ্ছুক বলে বিবৃতিতে দাবি করেন মেনেন্দেজ৷ বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে কাজ শুরু করলেও আশার সঞ্চার করতে পারেনি বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷

কারখানার শ্রমিকদের জন্য স্বাধীন ইউনিয়ন তৈরি ব্যতিরেকে কোনোভাবেই এই শিল্পের উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মনে করেন মেনেন্দেজ৷ তিনি বলেন, ‘‘এই বিষয়টিতে বাংলাদেশ সরকার ও বিজিএমইএ যদি সঠিক পদক্ষেপ না নেয়, তবে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে আরো একটি বড় ধরনের বিপর্যয় তৈরি হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র৷ তখন ‘মেড ইন বাংলাদেশ' ইমেজ নষ্ট হলে তা পুনরুদ্ধারের বাইরে চলে যাবে৷''

মার্কিন সিনেটর সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘‘বিজিএমইএ এবং সরকারকে বুঝতে হবে যে, বাংলাদেশি শ্রমিকদের রক্তের দাগ লেগে থাকা পোশাক পশ্চিমা ক্রেতারা আর কিনবে না৷ এই ছোট বার্তাটি তাদের বুঝতে হবে৷''

পোশাক শিল্পের মালিকরা অবশ্য দাবি করছেন যে, বাংলাদেশে ট্রেড ইউনিয়নে কোনো বাধা নেই৷ নতুন আইনে নিয়ম মেনে ট্রেড ইউনিয়ন করতে শ্রমিকদের বাধা দেয়া হচ্ছে না৷ তবে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আইনে নানা জটিলতা আছে আর নানা কৌশলে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেয়া হয় না৷ এর মধ্যে সময় ক্ষেপণ ও চাকরি থেকে বাদ দেয়ার কৌশল অন্যতম৷''

সিরাজুল ইসলামও মনে করেন, ‘‘যদি পোশাক কারাখানায় ট্রেড ইউনিয়ন হয়, তবে তা মালিক এবং শ্রমিক উভয়ের জন্য ভালো৷ কারণ এতে শ্রমিকদের নামে ধ্বংসাত্মক কাজ বন্ধ হবে৷ আর শ্রমিকদের ওপরও বেআইনি কিছু করা যাবে না৷ কিন্তু এই বিষয়টি অনেক মালিক বুঝতে পারছেন না৷'' তাঁর মতে, ‘‘স্বাধীন শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশের পোশাক খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য