যোগাযোগ মন্ত্রী এখন ওবায়দুল কাদের
৬ ডিসেম্বর ২০১১মন্ত্রিসভায় নতুন দুই জনের দপ্তর বণ্টনের পাশাপাশি পুরনোদের মধ্যে জি এম কাদের ও ফারুক খানের মন্ত্রণালয় অদল-বদল হয়েছে৷ আর বহুল আলোচিত যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে সরিয়ে নবগঠিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে৷ নতুন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পেয়েছেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব৷ নতুন মন্ত্রণালয় রেলপথের মন্ত্রী হয়েছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত৷ ইয়াফেস ওসমান থাকছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে৷ রোববারই বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ভেঙে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়৷ এর একদিন পরই সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মন্ত্রিসভার দপ্তর রদবদলের প্রজ্ঞাপন জারি করে৷
এখন থেকে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক খান৷ বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ‘কম খাওয়ার পরামর্শ' দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি৷ রদবদলের বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আগের মন্ত্রণালয়ে ভালোভাবেই কাজ করেছিলাম, সবার সহযোগিতায় নতুন মন্ত্রণালয়েও সেভাবেই কাজ করবো৷
গত ২৯শে নভেম্বর মন্ত্রী হিসেবে সুরঞ্জিতের সঙ্গে শপথ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের৷ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাদের আওয়ামী লীগের গত সরকারে যুব, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন৷ আর এবার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে তিনি বললেন, কাজের মাধ্যমেই তিনি প্রমাণ করতে চার নিজের যোগ্যতা৷
তবে মন্ত্রণালয় পুনর্বন্টনের পর মন ভার করতে দেখা গেছে সদাহাস্যময় সৈয়দ আবুল হোসেনকে৷ নতুন মন্ত্রণালয়ে কবে যোগ দিচ্ছেন জানতে চাওয়া হলে তার নির্লিপ্ত উত্তর আসে, দেখি, কবে দিই৷ এ বছরের মাঝামাঝি কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনার পর বেহাল মহাসড়কের ইস্যুতে ব্যাপক সমালোচনা ওঠে আবুল হোসেনকে নিয়ে৷ এরপর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন স্থগিত করলে নতুন করে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি৷ উল্লেখ্য, বর্তমানে মন্ত্রিসভার সদস্য ৪৫ জন, এদের ২৮ জন মন্ত্রী এবং ১৭ জন প্রতিমন্ত্রী৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক