যে ভাবে লড়ছে দিল্লি
দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। গত ১৪ এপ্রিল থেকে নিয়মের কড়াকড়ি বেড়েছে। রাস্তায় ছড়ানো হচ্ছে জীবাণুনাশক।
আশ্রয় শিবির
দিল্লির আশ্রয় শিবিরে হাজার হাজার শ্রমিক। লকডাউন বাড়ার ফলে যন্ত্রণা আরও বেড়েছে। সকলে দু'বেলা খাবার পাচ্ছেন না। তবে দিল্লি সরকার জানিয়েছে, লকডাউন চলাকালীন সকলে যাতে খাবার পান সে দিকে নজর রাখা হবে। আশ্রয় শিবিরে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে কি না, সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
নির্মীয়মান বাড়িতেই দিন যাপন
নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের অনেকেই সরকারি আশ্রয় শিবিরে পৌঁছতে পারেননি। নির্মীয়মান বাড়িতেই কোনও মতে দিন কাটছে তাঁদের। পলিথিন শিট দিয়ে তাঁরা ঢেকে নিয়েছেন চারদিক। রান্না-খাওয়া-ঘুম-- সব কিছুই এক জায়গায়।
গায়ে গায়ে বেঁচে থাকা
দিল্লির শহরতলিতে এ ভাবেই গায়ে গায়ে লাগানো বাড়িতে বসবাস করেন নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা তাঁদের পক্ষে কার্যত অসম্ভব।
জীবাণুনাশক স্প্রে
দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার নেতৃত্বে এ ভাবেই রাস্তায় রাস্তায় ছড়ানো হচ্ছে জীবাণুনাশক। দিল্লিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। সরকার গত কয়েক দিনে কড়াকড়ি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
রাস্তায় দমকল
প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন রাস্তা এ ভাবেই পরিষ্কার করছে দমকল। কোথাও কোথাও দিনে দুই বার করে জল দেওয়া হচ্ছে।
মাস্ক তৈরিতে জওয়ানরা
মাস্ক এবং চিকিৎসকদের সুরক্ষা পোশাক তৈরি করছেন প্যারামিলিটারির জওয়ানরা। সিআরপিএফ ক্যাম্পেই সেলাইয়ের ইউনিট তৈরি করা হয়েছে।
সকালে বাজার
সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা থাকছে বাজার। প্রতিটি দোকানের বাইরে চুন দিয়ে গোল এঁকে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সেখানে দাঁড়িয়েই বাজার করতে হচ্ছে নাগরিকদের।