আলোচিত তিন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
৯ নভেম্বর ২০১৬পানামা পেপার্স
সাম্প্রতিককালে সাংবাদিকতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ পানামা পেপার্স৷ এটি হচ্ছে এগারো দশমিক পাঁচ মিলিয়ন ডকুমেন্ট এবং দুই দশমিক ছয় টেরাবাইট তথ্য যা ই-মেল, আর্থিক বিবরণী, পাসপোর্ট এবং কর্পোরেট নথি আকারে আছে৷ আইন বিষয়ক সংস্থা মোসাক ফনসেকার কাছে এ সব তথ্য ছিল৷ প্রকাশিত এই তথ্যে অনেক কাগুজে প্রতিষ্ঠানের খদ্দেরদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা গেছে, যারা ১৯৭৭ থেকে ২০১৬ অবধি নিজেদের আয়ের সঠিক তথ্য গোপন করেছেন৷ আর তাদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্বের নামকরা সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে রাজনীতিবদরা, ব্যবসায়ীরা৷ জার্মানির একটি পত্রিকার নেতৃত্বে একদল আন্তর্জাতিক সাংবাদিক বেশ কিছুদিন ধরে অনসন্ধান করে এসব তথ্য প্রকাশ করেন, যার ফলে একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে পর্যন্ত পদত্যাগ করতে হয়েছে৷
ওয়াটারগেট রিপোর্ট
১৯৭২ সালে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার দুই সাংবাদিক তদন্ত করে জানতে পারেন সেসময় নির্বাচনি প্রচারাভিযান চলাকালে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দল ও প্রশাসনের কয়েক ব্যক্তি ওয়াশিংটন ডিসির ওয়াটারগেট ভবনস্থ ডেমোক্র্যাট দলের সদর দফতরে আড়িপাতার যন্ত্র বসিয়েছে৷ আর নিক্সনের প্রশাসন এই বিষয়টি জানার পরও ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে৷ বিষয়টি তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে আর কেলেঙ্কারির দায় মাথায় নিয়ে ১৯৭৪ সালে পদত্যাগে বাধ্য হন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন৷ ওয়াটারগেট রিপোর্টের কারণে ৪৩ ব্যক্তির কারাভোগও করতে হয়েছে৷
এনএসএ-এর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন
সন্ত্রাসীদের কিংবা সাধারণ মানুষের জন্য বিপজ্জনক ব্যক্তিদের নজরদারিতে রাখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) – এই কথা সবাই জানতো৷ কিন্তু ২০১৩ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এনএসএ ঢালাওভাবে গোপনে সাধারণ মানুষের উপর নজর রাখছে৷ মার্কিন পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট এবং ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকা যৌথভাবে এসব তথ্য প্রকাশ করে৷ মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ)-র সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন এ সব তথ্য প্রকাশ করেন৷ ওবামা প্রশাসন এ সমস্ত তথ্য প্রকাশের ঘটনায় ব্যাপক চাপে পড়ে যায় এবং তাদের নীতিগত অবস্থানেও পরিবর্তন এসেছে৷ স্নোডেন বর্তমানে রাশিয়াতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন৷
আপনার বিবেচনায় সবচেয়ে আলোচিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন কোনটি? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷