যুদ্ধে শেষপর্যন্ত ইউক্রেনের সঙ্গে থাকব: জি-৭
২৮ জুন ২০২২সোমবার এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ''আমরা ইউক্রেনকে আর্থিক, মানবিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাব। যতদিন দরকার, ততদিন দেব।''
ওই বিবৃতিতে জি-৭ দেশগুলি বলেছে, ইউক্রেনের বন্দর থেকে খাদ্যশস্য অন্যত্র যেতে দিচ্ছে না রাশিয়া। তাদের এই অবরোধ তুলে নিতে হবে। এই দেশগুলি জানিয়েছে, ''ইউক্রেনে রাশিয়া যে বর্বরোচিত, অন্যায্য, বেআইনি যুদ্ধ করছে এবং বেলারুশ এভাবে তাদের সাহায্য করছে, তাতে আমরা স্তম্ভিত।''
এই জি-৭ দেশগুলি হলো, ক্যানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও অ্যামেরিকা।
রাশিয়ার তেল নিয়ে
জি-৭ দেশগুলি রাশিয়ার তেলের দামের সীমা বেঁধে দিতে চাইছে। এই বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। জি-৭ দেশগুলি চায়, রাশিয়া যেন তেল, কয়লা, গ্যাস বিক্রি করে খুব বেশি অর্থ না পায়।
অ্যামেরিকা বৈঠকে জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পকে টার্গেট করে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে। তাহলে রাশিয়ার সেনার কার্যকারিতা কমবে।
এক কর্মকর্তা সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, জি-৭ দেশগুলির উদ্দেশ্য দুইটি। প্রথমত, রাশিয়া যাতে তেল-গ্যাস-কয়লা বিক্রি করে খুব বেশি আয় না করতে পারে। দ্বিতীয়ত, এই লড়াইয়ের প্রতিক্রিয়া যেন তাদের ও অন্য দেশের উপর খুব বেশি না পড়ে।
শলৎসের বক্তব্য
জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎস জানিয়েছেন, ইউক্রেনে হামলার আগে রাশিয়ার সঙ্গে যে সম্পর্ক ছিল, সেখানে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। তার মতে, রাশিয়া সব নিয়ম, সব চুক্তি ভেঙেছে। কিন্তু সহিংসতার মাধ্যমে সীমান্ত বদল করা যায় না। জি-৭ দেশগুলি প্রয়োজনাীয় সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত বলেও শলৎস জানিয়েছেন।
জেলেনস্কির ভাষণ
ভিডিওর মাধ্যমে জি-৭ বৈঠকে ভাষণ দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি জি-৭-এর কাছ থেকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, খাদ্যশস্য রপ্তানি করার সুযোগ করে দেয়ার অনুরোধ করেছেন। তিনি রাশিয়ার উপর আরো নিষেধাজ্ঞাও চেয়েছেন।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)