1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন আইন

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২

যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজ বাধাগ্রস্তের বিরুদ্ধে যে আইন হবে তা হবে সুনির্দিষ্ট৷ এতে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ বা নির্যাতনের শিকার হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে দাবী আইন মন্ত্রীর৷ আর সুরঞ্জিত সেন সংসদে দ্রুত এ আইন পাশের দাবী জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/145N1
Barrister Shafiq Ahmed is the Law minister of Bangladesh Government
আইন মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদছবি: Samir Kumar Dey

যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করার বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের জন্য বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সর্বসম্মত প্রস্তাব পাশ হয়৷ আর এই প্রস্তাব পাশের ফলে আইন প্রনয়ণ বাধ্যতামূলক হয়ে গেল৷ কিন্তু প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এই আইনের বিরোধিতা করছে৷

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির এবং সাবেক আইন মন্ত্রী ও বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ শুক্রবার বলেছেন এই আইনের উদ্দেশ্য হল বিরোধী দলের কণ্ঠ রোধ করা৷ সরকার চায় এই আইন করে বিরোধী দলের ওপর দমন নির্যাতন করতে৷ তারা দাবী করেন এই আইন সংবিধান বিরোধী৷

জবাবে আইন মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ শনিবার বলেছেন, এই আইন পাশ হলে কারুর বাক স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হবে না৷ কারুর কণ্ঠরোধ করাও এই আইনের উদ্দেশ্য নয়৷ তবে যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করলে তাকে আইনের বাইরে রাখা যায় না৷

আইন মন্ত্রী বলেন এই আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ারও কোন সম্ভাবনা নেই৷ আর আইনটি হবে সুনির্দিষ্ট৷ কোন কথা বা কাজকে যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করার অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে, তা সুনির্দিষ্ট থাকবে আইনে৷

এদিকে রেল মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত সংসদে পাশ হওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে দ্রুত সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন৷

উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার সরকার দলীয় সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্তের বিরুদ্ধে আইন করতে সংসদে প্রস্তাব তোলেন৷ তিনি আইন প্রতিমন্ত্রীর অনুরোধে সে প্রস্তাব প্রত্যাহারও করেন৷ কিন্তু প্রত্যাহারের পরও স্পিকার প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে দিলে পাশ হয়ে যায়৷ আর সংসদে যথারীতি বিরোধী দল উপস্থিত ছিল না৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য