যুদ্ধক্ষেত্রে আরো জমি হারাচ্ছে ইউক্রেন
২৯ এপ্রিল ২০২৪দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর মার্কিন কংগ্রেস অবশেষে বিশাল অংকের সামরিক সহায়তার প্রস্তাব অনুমোদন করলেও বাস্তবে সেই সহায়তার সুফল পেতে সময় লাগছে৷ মার্কিন প্রশাসন অবিলম্বে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে৷ তবে হস্তান্তর থেকে শুরু করে সেগুলি মোতায়েন করতে অবশ্যই অনেক ধাপ পেরোতে হচ্ছে৷
এমন দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে রাশিয়া ইউক্রেনের উপর হামলার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে৷ রোববার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার ওলেক্সান্ডার সিরস্কি জানিয়েছেন, পূর্ব প্রান্তে তিনটি গ্রাম রাশিয়ার দখলে চলে গেছে৷ আগেই বেদখল হওয়া আভদিভকা শহরের কাছে রুশ সৈন্যদের তৎপরতা বেড়েই চলেছে৷ খারকিভ শহরের কাছে রুশ সৈন্যসংখ্যা বেড়ে চলায়ও দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন সিরস্কি৷ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও রোববার দনিয়েৎস্ক এলাকার একটি গ্রাম দখলের দাবি করেছে৷ শুধু অস্ত্র নয়, যথেষ্ট সৈন্যের অভাবের কারণেও ইউক্রেনের সেনাবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে৷ আরো কমবয়সি পুরুষদের সেনাবাহিনীতে ডাকার পথ সুগম করতে আইন পাশ হলেও সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সময় লাগছে৷
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি আন্তর্জাতিক সহযোগীদের উদ্দেশ্যে আরো দ্রুত অস্ত্র সরবরাহের আবেদন জানিয়েছেন৷ রাশিয়ার হামলা মোকাবিলা করতে নিয়ন্ত্রণ রেখায় প্রতিরোধ চালিয়ে যেতে সেই সহায়তার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি৷ বিশেষ করে অ্যামেরিকা থেকে আরো পেট্রিয়ট সিস্টেম পেতে তিনি সেখানকার সংসদের নিম্ন কক্ষের ডেমোক্র্যাটিক নেতা হাকিম জেফ্রিসের সঙ্গে রোববার কথা বলেছেন৷ দৈনিক টেলিভিশন ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন এখনো অস্ত্রে সরবরাহের জন্য অপেক্ষা করছে৷
মার্কিন সামরিক সহায়তা কাজে লাগানোর জন্য প্রস্তুত হলে ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আরো জোরালো করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ কিন্তু সেই পরিকল্পনা বানচাল করতে রাশিয়া রেলপথের উপর হামলা চালিয়ে সামরিক ব্যবস্থাপনার অবকাঠামো তছনছ করার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার এক সুত্র৷ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে তিনি গত সপ্তাহে এমন ষড়যন্ত্রের কথা জানান৷ ফলে ইউক্রেনের পক্ষে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম সঠিক জায়গায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে উঠতে পারে৷ ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান কিরিলো বুদানভ চলতি মাসেই বলেছিলেন, যে মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে জুন মাসের শুরু পর্যন্ত যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনকে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে৷
এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)