1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুদ্ধক্ষেত্র গাজার হাসপাতাল, বন্ধ কাজ

১৩ নভেম্বর ২০২৩

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতাল সমস্ত পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। গোটা এলাকা যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

https://p.dw.com/p/4YjAf
গাজা হাসপাতালে পরিষেবা বন্ধ
গাজার হাসপাতালের ছবিছবি: Ibraheem Abu Mustafa/REUTERS

আল-শিফা হাসপাতালের ভিতর থেকে হামাস লড়াই চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা রোগী এবং বেসামরিক মানুষকে মানব-ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সহ একাধিক গোষ্ঠী এবং দেশ ইসরায়েলের কাছে আর্জি জানিয়েছে, তারা যেন সংঘাতে নেমে বেসামরিক মানুষকে আক্রমণ না করে। অন্যদিকে হামাসের তীব্র নিন্দাও করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও-কে হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাসপাতালের ভিতর দুই হাজার ৩০০ রোগী আটকে আছেন। তাদের সেখান থেকে বার করে আনা যাচ্ছে না, পরিষেবাও দেওয়া যাচ্ছে না। বস্তুত, আল-শিফা গাজার একমাত্র হাসপাতাল। ফলে রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না।

সংবাদমাধ্যমের হাতে এমন ছবিও পৌঁছেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ২০টি সদ্যজাত শিশুকে একটি সার্জিকাল থিয়েটারের ভিতরে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, শিশুদের হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করার জন্য সাহায্য করবে তারা। তবে আল-শিফা হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে, একথা স্বীকার করেনি তারা। হামাসের অভিযোগ, ইসরায়েলের আক্রমণে হাসপাতালের বিদ্যুৎ চলে গেছে। ইসরায়েলের সেনা সেকথাও মানতে চায়নি।

ইসরায়েলের বক্তব্য, হামাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয় আল-শিফা হাসপাতালের নিচে। সেখান থেকে লড়াই চালাচ্ছে তারা। ইসরায়েলের সেনার বক্তব্য, সে কারণেই হাসপাতাল ঘিরে লড়াই চালাচ্ছে ইসরায়েলের সেনা। তবে তাদের দাবি, এখনো পর্যন্ত হাসপাতাল ভবন লক্ষ্য করে তারা আক্রমণ চালায়নি। হাসপাতাল সুরক্ষিত আছে।

এদিকে হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংবাদমাধঅযমকে জানিয়েছে, সংঘাত শুরু হওয়ার পর অন্তত ১১হাজার গাজার বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে অন্তত চার হাজার ৫০০ শিশু।

খুলেছে রাফাহ সীমান্ত

রাফাহ সীমান্ত মাঝে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, রোববার আবার তা খুলেছে। বেশ কিছু আহত ফিলিস্তিনি এবং বিদেশি নাগরিক রোববার রাফাহ সীমান্ত দিয়ে মিশরে ঢুকেছেন বলে জানা গেছে। কয়েকহাজার মানুষ এদিন সীমান্ত পেরিয়েছেন বলে ইসরায়েল জানিয়েছে।

অন্যদিকে, জার্মানি জানিয়েছে, তারা গাজায় আরো মানবিক সাহায্য পাঠাবে।তার জন্য  নতুন করে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি, এপি)