যুদ্ধ যাতে না হয়, তার চেষ্টা করছি: শলৎস
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২জার্মানির চ্যান্সেলার ওলফ শলৎস আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁও পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্টকে। মঙ্গলবার তিন শীর্ষ নেতার বৈঠক হয়। আলোচনার বিষয় ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত। পশ্চিমা দেশগুলির আশঙ্কা, রাশিয়া যে কোনো সময় ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে। তারা সীমান্তে এক লাখের মতো সেনা মোতায়েন করেছে। তাদের যুদ্ধপ্রস্তুতিও সম্পূর্ণ।
নেতারা কী বললেন
জার্মান সরকার একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, তিনজন নেতাই রাশিয়াকে উত্তেজনা কমাবার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তারা ইউরোপের সুরক্ষার জন্য অর্থপূর্ণ আলোচনা চান। তারা মনে করেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে, তাহলে তার প্রতিক্রিয়া মারাত্মক হবে এবং ইউরোপকে তার জন্য প্রচুর মূল্য দিতে হবে।
শলৎস বলেছেন, ন্যাটো দেশগুলি বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একমত, রাশিয়া যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে, তাহলে তার ফল কী হবে, সেই বিষয়েও কোনো দ্বিমত নেই।
জার্মান চ্যান্সেলার জানিয়েছেন, ''আমাদের প্রত্যেকের লক্ষ্য, ইউরোপে যাতে যুদ্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করা।'' তিনি জানিয়েছেন, ''ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন খুবই উদ্বেগজনক বিষয়। এর ফলে ইউরোপের পরিস্থিতিও খারাপ হচ্ছে।''
শলৎসের মত হলো, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার উপর কোনো আঘাত মেনে নেয়া সম্ভব নয়। রাশিয়া সেই চেষ্টা করলে তার সুদূরপ্রসারী ফল হবে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ভূ-রাজনৈতিক কৌশল-- সব ক্ষেত্রেই এর প্রভাব পড়তে বাধ্য।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, এই তিন দেশ ইউরোপে উত্তেজনা কমাবার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে। যুদ্ধ থামাবার জন্য একটা সমাধানসূত্র জরুরি এবং সেটাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে দরকারি কাজ বলে তিনি মনে করেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ বলেছেন, ইউরোপে উত্তেজনা এড়াতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা দরকার। সকলে মিলে সমাধান খুঁজে বের করতে হবে এবং সেটা করতে হবে আলোচনার মাধ্যমে। তারা পূর্ব ইউক্রেনে লড়াইয়েরও অবসান চান। এই লড়াইয়ের জেরে এখনো পর্যন্ত ১৪ হাজার মানুষ মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার বার্লিনে ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতরা বৈঠক করবেন।
কূটনৈতিক তৎপরতা
মঙ্গলবারের এই বৈঠকের আগে মাক্রোঁ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে পুটিন তাকে বলেছেন, রাশিয়ার কারণে উত্তেজনা বাড়বে না। এরপর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তাকে বলেছেন, রাশিয়া যদি উত্তেজনা কমাতে পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তিনি তা স্বাগত জানাবেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবকও ইউক্রেনে গেছিলেন।
শলৎসও অ্যামেরিকা গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেছেন। সেখানেও রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)