অর্থসাহায্য প্রত্যাহার, আশঙ্কায় ফিলিস্তিনিরা
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানানো হয়, পূর্ব জেরুসালেমের হাসপাতালগুলোতে আড়াই কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা বাতিল করে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে তা ব্যয় করা হবে৷
পূর্ব জেরুসালেমের মাকাস্সেদ হাসপাতালের পরিচালক বাসেম আবু লিবদেহ বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ সহায়তায় পূর্ব জেরুসালেমেরযেসব হাসপাতালে চিকিৎসা হয়, অর্থ সহায়তা বন্ধ হয়ে গেলে সেখানকার রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়বে৷'' তিনি জানান, পূর্ব জেরুসালেমের ৬টি হাসপাতালের ৪০ শতাংশ খরচ চলে মার্কিন সহায়তায়৷ এই হাসপাতালগুলোতে মূলত পশ্চিম তীর এবং গাজার অধিবাসীরা চিকিৎসা নিতে আসেন৷
মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, বাতিল করা অর্থ সহায়তার অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থে খরচ করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ফিলিস্তিনিদের বিশেষ স্বাস্থ্যসেবার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এই তহবিল থেকে অর্থ ব্যয় করা হতো৷ যেমন, হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার, নবজাতকদের নিবিঢ় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা, শিশুদের ডায়ালাইসিস ইত্যাদি৷ এসব স্বাস্থ্যসেবা পশ্চিম তীর এবং গাজায় সহজলভ্য নয়৷
ডিসেম্বরে জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে একের পর এক এমন পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন, যা ফিলিস্তিনিদের মনে মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাবকে আরো উসকে দিচ্ছে৷
মার্কিন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পর ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র আহমাদ সামি সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন, ‘‘শান্তি আলোচনা চালানোর জন্য এটা কি কোনো ফর্মুলা হতে পারে? এটা একেবারেই অমানবিক এবং অনৈতিক পদক্ষেপ৷ এর মাধ্যমে ইসরায়েলের আগ্রাসনকে সমর্থন দেয়া হচ্ছে এবং ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে৷ ''
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এর ফলে শত শত ফিলিস্তিনির জীবন হুমকির মুখে পড়বে৷'' আরো বলা হয়েছে, ‘‘মার্কিন প্রশাসন যে বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এতে তারা সব ধরনের সীমা লঙ্ঘন করেছে এবং তারা ফিলিস্তিনের মানুষের বিরুদ্ধে আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছে৷ এটা সব ধরনের মূল্যবোধের বিরোধী৷''
এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)