1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম: সমাজে অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু সাদরে নয়

১ আগস্ট ২০১১

নাইন-ইলেভেন যাবৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের সমস্যা হল তাদের ভাবমূর্তি৷ অথচ এককভাবে অনেকেই সমাজে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/127GM

‘‘সমগ্র ডালেস এলাকার মুসলিম সমাজ'' বা ইংরিজি আদ্যক্ষরগুলো মিলিয়ে এ্যাডামস৷ তাদের একটি ওয়েবসাইট'ও আছে৷ প্রায় ৫,০০০ মুসলিম পরিবারের বাস এই এলাকায়, অর্থাৎ তারা যুক্তরাষ্ট্রে বৃহত্তম মুসলিম সমাজগুলোর মধ্যে গণ্য৷ ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডালেস এলাকার মুসলিমরা জানিয়ে দিতে চান, তাদের এফবিআই থেকে শুরু করে অন্যান্য পুলিশ এবং গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে ভালোই সম্পর্ক আছে; তারা উগ্রপন্থা এবং সন্ত্রাসবাদ বর্জন করেন; এবং তাদের সমাজে নারীপুরুষের সমানাধিকার৷

Das ADAMS- Center (All Dulles Area Muslim Society) ist religiöses und kulturelles Zentrum für mehr als 5000 muslimische Familien westlich der US-Hauptstadt Washington, DC. ***Nur für den Beitrag "Wir sind auch Amerikaner" zu verwenden* Fotografin: Christina Bergmann Sterling, Virginia, USA 25.5.2011
ছবি: DW

এই কথাগুলো নতুন করে জানিয়ে দেবার প্রয়োজন পড়েছিল এই কারণে যে, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের পর ওয়াশিংটনের পশ্চিমে ডালেস এলাকার মুসলিমদের অনেক দ্বেষ এবং বৈরীতা সহ্য করতে হয়েছে৷ নাইন-ইলেভেনের দিন সন্ধ্যাতেই এলাকার পুরনো মসজিদটিতে ঢুকে ভাংচুর করা হয়৷ অবশ্য তার পরপরই এলাকার অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলি মুসলিমদের সঙ্গে সংহতি ঘোষণা করে, মসজিদে পাহারা দেবার, এমনকি শঙ্কা থাকলে মুসলিম মহিলাদের সঙ্গে করে গন্তব্যস্থানে পৌঁছে দেবারও প্রস্তাব দেয়৷

রাজনীতি বনাম ইতিহাস বনাম বাস্তব

নিউ ইয়র্কে গ্রাউন্ড জিরোর কাছে পরিকল্পিত ইসলাম কেন্দ্রই হোক, বা ফ্লোরিডায় এক ধর্মযাজকের কোরান পোড়ানোর পাবলিসিটি স্টান্টই হোক, এ'সবের পিছনে রাজনৈতিক লাভালাভের হিসেবনিকেশ কাজ করছে বলে ডালেসের এ্যাডামস কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের ধারণা৷ বিংশ শতাব্দীতে ক্যাথলিকরা, ইটালিয়রা, আইরিশরা যুক্তরাষ্ট্রে এসে ঠিক একই রকমের প্রত্যাখ্যানের সম্মুখীন হয়েছিল৷ ঠিক তাদের মতোই যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমরা একদিন সমাজে পূর্ণ গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে এ্যাডামস'এর বিশ্বাস৷ স্বয়ং জন এফ কেনেডি যখন প্রেসিডেন্ট হন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ক্যাথলিক প্রেসিডেন্টের আনুগত্য পোপের প্রতি, না মার্কিন সংবিধানের প্রতি, তা নিয়ে বিতর্ক চলেছিল, কার না মনে আছে৷

Samira Hussein lebt mit ihren vier Kindern in Gaithersburg, Maryland. Ihr Wagen wurde mehrfach zerstört, ihre Kinder hatten Angst. Sie setzt sich für die Gemeinde ein. Sie ist Palästinenserin. ***Nur für den Beitrag "Wir sind auch Amerikaner" zu verwenden* Fotografin: Christina Bergmann Sterling, Virginia, USA 25.5.2011
সামিরা হুসেইনছবি: DW

তবুও, নাইন-ইলেভেনের পর অনেক মুসলিম বাসিন্দার গাড়ির টায়ার ছুরি দিয়ে কেটে দেওয়া হয়েছে, বাড়ির দরজা ভেঙে দেওয়া হয়েছে, বাড়ির বাগানে মরা পাখি কি ময়লা ফেলা হয়েছে, বাগানের গাছ তুলে ফেলা হয়েছে৷ স্কুলে মুসলিম পরিবারের বাচ্চাদের অন্য বাচ্চারা মারধোর করেছে৷ এমনকি কর্মক্ষেত্রেও মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক ব্যবহারের উদাহরণ আছে৷

যেখানে সমস্যা, সেখানে সমাধান

তাই গেটিসবার্গের আদতে ফিলিস্তিনি তরুণী সামিরা হুসেইন স্কুলে, অভিভাবক সমিতিতে, সমাজে, যেখানে পারেন, সেখানেই বোঝানোর চেষ্টা করেন, কেন তিনি হিজব পরেন৷ এবং এক্ষেত্রে বাচ্চাদের, ছোটদের বোঝানোকে তিনি অগ্রাধিকার দেন: তারা ছোটবেলায় যা শিখবে, তা তাদের পরেও সহিষ্ণু হতে সাহায্য করবে৷ ভারত থেকে পাকিস্তান হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী তুফাইল আহমদ মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমদের সমাজকল্যাণে আরো সক্রিয় হতে হবে৷ ভারতীয়রা, পাকিস্তানিরা স্বদেশে নিজেরা বড় বড় বাড়িতে থাকে, কিন্তু গরীবদের জন্য কিছুই করে না - এই হল মার্কিনিদের ধারণা৷ সেই ধারণাটাকেই পাল্টে দিতে হবে৷ আহমদের মন্টগোমারি কাউন্টিতে যা কিছু সমাজসেবা বা সমাজকল্যাণমূলক কাজ, তার সবটাই করে শ্বেতাঙ্গরা৷ সেটা আর কেউ খেয়াল না করুক, আহমদ করেছেন৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ