যুক্তরাষ্ট্রে ফিটনেস
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২বেশি মুটিয়ে যাওয়া সব বয়সি মানুষের জন্যই চিন্তার কথা৷ যুক্তরাষ্ট্রে এমন মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে৷ তাই দিন দিন বাড়ছে জিম, ফিটনেস সেন্টারে ভিড়, বাড়ছে ফিটনেস ট্রেনার, ইন্সট্রাকটরদের চাহিদা৷ চাকরির বাজারে তাঁদের দারুণ কদর৷ বছরে ৫৩ হাজার ডলার বেতন, ভালো করলে বেতন আরো বাড়বে – এমন চাকরি কে না চায়!
শুরুতে বেশি লেখাপড়ারও দরকার নেই৷ হাই স্কুল ডিপ্লোমাটা নিয়েই ঢুকে পড়া যায় কাড়ি কাড়ি টাকা কামানোর কাজে৷ পরে অবশ্য যত ডিগ্রি ততই লাভ৷ উন্নতির সিঁড়িগুলো পেরোনো যায় তরতর করে৷ যুক্তরাষ্ট্রে তাই অনেক তরুণ-তরুণীরই স্বপ্ন ফিটনেস ট্রেনার হওয়া৷ গত ২০ বছরে অতিরিক্ত মোটা মানুষের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে৷ রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানাচ্ছে, সে দেশের মোট প্রাপ্তবয়স্কের দুই তৃতীয়াংশই নাকি অতি মোটা৷
তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন ফিটনেস ট্রেনাররা৷ যত রোগী তত ট্রেনার৷ অ্যামেরিকান কাউন্সিল অন এক্সারসাইজ (এসিই)-র মুখ্য বিজ্ঞান কর্মকর্তা সেড্রিক ব্রায়ান্ট বলছেন, স্থূলতার প্রাদুর্ভাবকে প্রতিরোধ করার মতো দক্ষ লোক তৈরি হয়ে কাজেও নেমে পড়েছে, ‘বেশি মুটিয়ে যাওয়ার রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে অনেক কথা হয়েছে৷ এ নিয়ে এত চিন্তার কিছু নেই৷' সেড্রিক যে এত জোর গলায় কথা বলতে পারছেন, তার কারণ হলো, তাঁর সংস্থা থেকেই প্রতি বছর প্রশিক্ষণ নিয়ে বেরোচ্ছেন শত শত মানুষ৷ এখন নাকি যুক্তরাষ্ট্রে সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত ফিটনেস প্রশিক্ষকের সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি৷
প্রশিক্ষকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফিটনেস সেন্টারও বাড়ছে৷ ট্রেনারদের অনেকে নিজেই খুলছেন এমন প্রতিষ্ঠান৷ অন্যদেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে সেখানে৷ সেরকম না হলে বিশ্বমন্দার ধাক্কা সামলে ফিল আর মিশেল বাঁচতেন কী করে? জিমে ১৫ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দুজনে মিলে বাবা-মায়েদের জন্য ব্রেক-থ্রু-ফিটনেস খুলেছিলেন বলেই না রক্ষা! দিব্যি চলে যাচ্ছে তাঁদের জীবন৷
এসিবি / এসবি (রয়টার্স)