যুক্তরাজ্যে আসাঞ্জের কারাদণ্ড
১ মে ২০১৯বুধবার শুনানিতে বিচারক ডেবোরাহ টেলর বলেন, আইন ভঙ্গ করে আসামী বড় অপরাধ করেছেন৷ তাই ৪৭ বছর বয়সি আসাঞ্জকে সর্বোচ্চ এক বছরের সাজা দেয়া হয়েছে৷ এদিকে, আসাঞ্জের মুক্তির দাবিতে আদালতের বাইরে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা৷
উইকিলিকস ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অসংখ্য গোপন নথি ফাঁস করে সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন জুলিয়ান৷ ২০১২ সালে সুইডেনে বহিঃসমর্পণ ঠেকাতে যুক্তরাজ্যে জামিনের শর্ত ভেঙে তিনি ইকুয়েডরের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চান৷
এরপর থেকে যুক্তরাজ্যোর ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন তিনি৷ প্রায় সাত বছর পর গত মাসে ইকুয়েডর রাজনৈতিক আশ্রয় তুলে নিলে আসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাজ্য পুলিশ৷ জামিনের শর্ত ভঙ্গ করার অপরাধে তাঁকে এই ৫০ সপ্তাহের সাজা দেয়া হলো৷
উইকিলিকসের মাধ্যমে আফগানিস্তান, ইরাকসহ বিভিন্ন দেশে যু্দ্ধ সংক্রান্ত গোপন মার্কিন সরকারি নথি ফাঁস করে দেবার পর আসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ সে সময় মিত্রদের কাছে সহযোগিতা চাইলে সুইডেন আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল৷
আসাঞ্জ শুরু থেকেই আসছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন৷
যুক্তরাষ্ট্র এছাড়াও তাদের মিলিটারি কম্পিউটার সিস্টেমে অনধিকার প্রবেশের অভিযোগ তুলেছে৷ এই অভিযোগের কারণে তাঁকে সে দেশটির কাছে সমর্পণ করার আশঙ্কা রয়েছে৷ বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের আদালতে শুনানি হবার কথা রয়েছে৷
জেডএ/এসিবি (রয়টার্স/এএফপি)