যুক্তরাজ্য সফরে পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০এডিনবরা পৌঁছলে তাঁকে হলিরুড প্রাসাদে স্বাগত জানান রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ৷ সেখানে পোপ মিলিত হন উপ-প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ, ক্যান্টারবারির অ্যাঙ্গলিকান আর্কবিশপ রোয়ান উইলিয়ামস এবং স্কটিশ মূখ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স স্যালমন্ডের সাথে৷ এছাড়া, সেখানে সামরিক মহড়া পরিদর্শন করেন পোপ৷ বিকেলে গ্লাসগোতে ভক্তদের সমাবেশে ভাষণ দেবেন তিনি৷
পোপের সফর নিয়ে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে স্থানীয় ভক্তদের মাঝে৷ ৬৫ বছর বয়সি তেরেসিয়া ম্যাকফার্লেন বলেন, ‘‘পোপ স্কটল্যান্ডে আসছেন এটা আমার কাছে এক বিশাল সুযোগ৷'' তবে ৭০ বছর বয়সি ফ্রান্সেস মনে করেন, শিশুদের উপর নির্যাতন ঠেকাতে গির্জার উচিত আরো কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ৷ কারণ ‘‘এটা গির্জার গায়ে কালিমা লাগিয়েছে এবং এভাবে চলতে দেওয়া যায় না৷''
অ্যাঙ্গলিকান এবং ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নই পোপের এই সফরের লক্ষ্য৷ ১৫৩৪ সালে ইংলিশ রাজা অষ্টম হেনরি রোমের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর রোমান ক্যাথলিক গির্জার কোন প্রধানের যুক্তরাজ্যে এটি দ্বিতীয় সফর৷ তবে পোপের দায়িত্ব গ্রহণের পর বেনেডিক্টের এটিই প্রথম যুক্তরাজ্য সফর৷
এদিকে, গির্জায় শিশু নির্যাতনের ঘটনার জন্য ক্যাথলিক গির্জার কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করলেন পোপ বেনেডিক্ট৷ বললেন, গির্জায় শিশুদের উপর যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে যথেষ্ট সতর্ক ছিল না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ৷ তিনি বলেন, ‘‘এসব ঘটনায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত এবং দুঃখিত৷ আমি এটা বুঝি না যে, যাজকের মতো মহান দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কিভাবে এতোটা বিকৃতি ঘটে৷''
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ