যাজক বিতর্ক ‘সমাধানে' রাজি তুরস্ক
৩ আগস্ট ২০১৮তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলুর সাথে শুক্রবার সিঙ্গাপুরে একটি আঞ্চলিক সম্মেলনের সাইডলাইনে বৈঠকে বসেন পম্পেও৷ সেখানে তাঁরা যাজকের ইস্যুটি দ্বিপাক্ষিকভাবে মোকাবেলার বিষয়ে একমত হন৷
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর গ্রেপ্তার করা হয় ৫০ বছর বয়সি মার্কিন যাজক ব্রুনসনকে৷ তাঁর বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা' এবং ‘গুপ্তচরবৃত্তির' অভিযোগ আনা হয়৷
অ্যান্ড্রু ব্রুনসন এখন তুরস্কে গৃহবন্দি আছেন৷ বিচারে দোষী প্রমাণিত হলে তাঁকে ৩৫ বছর পর্যন্ত কারাভোগ করতে হতে পারে৷
যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে৷ এ সব অভিযোগের সপক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই বলেও মনে করে যুক্তরাষ্ট্র৷
১ আগস্ট তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিচারমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র৷ দু'জনেই এর্দোয়ানের ঘনিষ্ট বলে পরিচিত৷ যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা থেকে আসা এই যাজক ২৩ বছর ধরে তুরস্কে বাস করছেন এবং ইজমির রিসারেকশন চার্চ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন৷
‘আসলেই কি হয়েছে মতৈক্য?'
পম্পেও তাঁর সাথে সিঙ্গাপুরে আসা মার্কিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘তুরস্ককে মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে, যাজককে ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টি বেশি গেরি হয়ে যাচ্ছে'৷
দুই তুর্কি মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘‘তাঁদের বোঝানো হয়েছে এই ব্যাপারটিতে আমরা কতোটা সিরিয়াস৷ তুরস্কের সাথে আমাদের বিরোধের অন্যতম ইস্যু এটি৷''
পম্পেও বলেন, ‘‘সোজা কথা, ব্রুনসন এবং তুরস্ক সরকারের আটকে রাখা অন্যান্য মার্কিন নাগরিকের দ্রুত দেশে ফেরা নিশ্চিত করতে হবে৷ অনেকদিন ধরে তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে৷ তাঁরা নির্দোষ৷''
তবে চাভুসোগলু অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি তেমন একটা পাত্তা দিচ্ছেন না৷ পম্পেওর সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘‘আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, হুমকি-ধামকি কিংবা অবরোধের ভয় দেখিয়ে কোনো কাজ হবে না৷''
এডিকে/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)