1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যখন রাজনীতি সাংবাদিকতাকে দমিয়ে রাখে

২৮ ডিসেম্বর ২০১১

বেনিশ আলি ভাট, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের এক তরুণ সাংবাদিক৷ প্রামাণ্য চিত্র ও লেখালিখিতেও অনুরাগ তাঁর, যেখানে তাঁর স্বদেশ, বিশ্বের সংঘাতপূর্ণ এক অঞ্চলের ছবি ফুটে উঠেছে৷

https://p.dw.com/p/13ZfP
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের তরুণ সাংবাদিক বেনিশ আলি ভাটছবি: Benish Ali Bhat

জার্মানির ফ্রিডরিশ এবার্ট ফাউন্ডেশানের আমন্ত্রণে ভাট এখন ডয়চে ভেলেতে ইন্টার্নশিপ করছেন৷ ডয়চে ভেলের মার্টিনা ব্যার্ট্রাম-এর সঙ্গে তাঁর ভবিষ্যতের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেন তিনি৷

ডি ডাব্লিউ: কাশ্মীর বিশ্বের এক সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল৷ সেখানে গত কয়েক দশকে বহু মানুষ আক্রান্ত ও হতাহত হয়েছে৷ সাংবাদিকদের জন্য কতটা বিপজ্জনক এই অঞ্চল?

বেনিশ আলি ভাট: আমি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে কাজ করি৷ কোনো কোনো দিন ভালভাবেই শুরু হয়, কিন্তু কেউ জানেনা কী ভাবে শেষ হবে দিনটি৷ খুব স্বাভাবিক এক অবস্থা থেকে মুহূর্তের মধ্যে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, একটি স্ফুলিঙ্গই যথেষ্ট৷ পুরুষ ও মেয়ে সব সাংবাদিককেই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়৷ কোনো ঘটনার কাছাকাছি থাকা মানে সম্ভাব্য সহিংসতারও কাছাকাছি থাকা৷ কোনো খবরের বিবরণী দেয়ার সময়ও তাঁদের ঝুঁকি নিতে হয়৷

সংবাদের ক্ষেত্রে সীমারেখা ও ট্যাবু আছে কী?

এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে৷ একটা দৃষ্টান্ত দেয়া যাক, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় অধিবাসীদের কোনো সংঘর্ষ ঘটলে, তা স্থানীয় প্রচার মাধ্যমগুলিতে সহজেই তুলে ধরা যায়৷ কিন্তু জাতীয় পর্যায়ে সরকারের পক্ষপাতিত্বের কারণে এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়গুলি তুলে ধরা সম্ভব নয়৷ কোনো সম্পাদকই এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে চাইবেননা৷ অন্যদিকে স্থানীয় জনসাধরণের অনুভূতিকে মূল্য ও সম্মান দেয়াও উচিত৷ এসবকে উপেক্ষা করা রীতিমত বিপজ্জনক হতে পারে৷

স্বাধীন মিডিয়া এই ধরনের সংকটের সুরাহা করতে পারে কীভাবে ?

এই সংকটে সাংবাদিকতা নয়, রাজনীতিই প্রধান ভূমিকা নিতে পারে৷ এই সব বিষয়ে সরকারের প্রভাব অত্যন্ত শক্তিশালী৷ আপনার প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, মিডিয়া অবাধ খবর প্রকাশ করতে পারলেই কেবল এই সংকটের সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে৷ মানুষের মুখ বন্ধ করা যায়না৷ সাংবাদিকতা সংলাপের পথ খুলে দিতে পারে৷ কাশ্মীরের জনগণের মতামত ও ক্রোধকে দমন করে রাখা উচিত নয়৷ এ জন্য আমি স্থানীয় মিডিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পছন্দ করি৷

সাংবাদিকরা কী ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন?

সাংবাদিকরা সংকটজনক পরিস্থিতির ওপর তথ্যভিত্তিক ও নেপথ্যের পটভূমি তুলে ধরতে পারেন৷ কিন্তু তাঁদের কাছে প্রায়ই যথেষ্ট তথ্য পৌঁছায় না৷ বিশেষ করে জাতীয় সংবাদ সংস্থাগুলি এই ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়৷ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাশ্মীর সংকট সম্পর্কে তাদের নেপথ্যের খবরাখবর জানা থাকে না৷ এ কারণে ভারতের জনসাধারণের এই বিষয়টির ওপর স্পষ্ট কোনো ধারণা নেই৷

আপনি প্রামাণ্য চিত্রনির্মাতা হিসাবেও কাজ করছেন৷ এই ক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্য কী?

কাশ্মীরের অবস্থা বেশ ভঙ্গুর৷ আমি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অঞ্চলটির পতন রোধ করতে চাই৷ আমি সেখানকার মানুষের প্রকৃত চিত্রটি তুলে ধরতে চাই৷ অবশ্যই খুব ভাল হত, যদি জাতীয় মিডিয়া আমার কথাগুলি তুলে ধরতে আগ্রহী হত৷ আমি সানন্দে তাদের সহযোগিতা করতে রাজি হতাম৷ ব্যাপারটি খুব সহজ নয়৷ তবে আমি দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য হিসাবে এই আশাটা ধরে রাখতে চাই৷

সাক্ষাত্কার: মার্টিনা ব্যার্ট্রাম

ভাষান্তর: রায়হানা বেগম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য