যখন টাকা ছিল না, তখন?
এখন মুদ্রার বিনিময় হিসেবে স্বর্ণের ব্যবহার বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত৷ কিন্তু যখন এমন কোনো সর্বজনীন ব্যবস্থা ছিল না, তখন কি হতো? মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত এমন কিছু অদ্ভুত বিকল্প নিয়ে আজকের ছবিঘর৷
ঝিনুকের খোলস
মানবজাতির ইতিহাসে বিশ্বজুড়েই ঝিনুকের খোলস মুদ্রা হিসেবে ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়৷ শুধু খাবার বা অন্য দ্রব্য নয়, সেবার বিনিময়েও দেয়া হতো ঝিনুক৷ এই মুদ্রার সবচেয়ে বেশি ব্যবহার দেখা যেতো আফ্রিকা, ইউরোপ ও এশিয়ায়৷
লবণ
রোমান সাম্রাজ্যের সময় থেকেই মুদ্রা হিসেবে লবণের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে৷ মাংস ও অন্যান্য খাবার সংরক্ষণে, এমনকি ক্ষত সারাতেও লবণের ব্যবহার ছিল বহুল প্রচলিত৷ ফলে ধীরে ধীরে এই মুদ্রার ব্যবহার রোমান সাম্রাজ্যের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে৷
চা পাতার ইট
নবম শতাব্দী থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগ পর্যন্ত তিব্বত, রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া ও চীনে চা পাতার বিশেষ ধরনের ইট ব্যবহৃত হতো মুদ্রা হিসেবে৷ চা পাতাকে চাপ দিয়ে তৈরি করা হতো এই বিশেষ আকারের ইট৷ তবে ব্যবহারের এলাকা, চায়ের সহজলভ্যতা, মানের ওপর নির্ভর করে ইটের মূল্যেও হতো তারতম্য৷
বীবরের চামড়া
বীবর এক ধরনের উভচর পশু৷ নেটিভ অ্যামেরিকানদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে ইউরোপীয়দের প্রথম পছন্দ ছিল এই বীবরের চামড়া৷ এই চামড়া নেটিভ অ্যামেরিকান এবং ইউরোপীয়দের উভয়ের কাছেই ছিল মূল্যবান৷
মাছ
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্থানে একসময় মুদ্রা হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ছিল মাছ৷ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থেকে বাঁচতে অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতো শুকনো মাছ৷ এশিয়া ও আফ্রিকা তো বটেই, ইউরোপের অনেক এলাকাতেও মুদ্রা হিসেবে স্বর্ণ স্বীকৃতি পাওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যবহৃত হতো মাছের মুদ্রা৷ পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে অ্যামেরিকার বিভিন্ন কারাগারের কয়েদিরা এখনও গোপন মুদ্রা হিসেবে মাছ ব্যবহার করে থাকেন৷