ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর ঘটনা কমছে
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে বিভিন্ন ধরণের ওষুধপত্রের পাশাপাশি মশারিও বিতরণ করা হয়েছিল ম্যালেরিয়ার প্রকোপ যেসব দেশে তীব্র, সেসব দেশে৷ সুফল বয়ে এনেছে এই পদক্ষেপ৷ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব হেল্থ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন তাদের এক জরিপে শুক্রবার জানিয়েছে যে, ম্যালেরিয়া প্রতি বছর অন্তত ১২ লক্ষ মানুষের জীবন নেয়৷ নীতিনির্ধারকদের এই সংখ্যা চমকে দেবে, কারণ গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের ‘রোল ব্যাক ম্যালেরিয়া' প্রকল্প জানায়, ২০০৯ সালে সারা বিশ্বে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৭ লক্ষ ৮১ হাজার মানুষ মারা গেছে৷
এর প্রেক্ষিতে আসলেই কতজন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে তা জানতে শুরু হয়েছে অনুসন্ধান৷ অনুসন্ধানকারীরা শুরু করেছেন ‘মৌখিক পোস্টমর্টেম'৷ অর্থাৎ যারা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে, তাদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে বিভিন্ন তথ্য৷ যেমন, কবে মারা গেছে, কতদিন ম্যালেরিয়ায় রোগী ভুগছিল, যে রোগে মারা গেছে তা সত্যিই ম্যালেরিয়া ছিল কিনা - এসব৷ কারণ দরিদ্র দেশগুলোতে ঠিকমত রোগ নির্ধারণ করার সুযোগ কম, ওষুধপত্রও অনেকের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে৷ নতুন এই জরিপে আরো জানানো হয়, যে যেসব শিশু ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে তাদের অধিকাংশেরই বয়স পাঁচ বছরের নীচে৷
২০১০ সালে পাঁচ থেকে চোদ্দ বছরের প্রায় ৭৮ হাজার শিশু এবং ১৫ বছরের প্রায় সাড়ে চার লক্ষ শিশু ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে৷ ২০১০ সালে মৃতদের মধ্যে শুধু শিশুরাই ছিল প্রায় ৪২ শতাংশ৷
তবে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে যে সংস্থাগুলো সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে তার মধ্যে রয়েছে বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, আরবিএম এবং গ্লোবাল ফান্ড টু ফাইট এইডস, ম্যালেরিয়া অ্যান্ড টিউবারকুলোসিস৷ ২০০১ সাল থেকে এই সংস্থাগুলো অর্থ সংগ্রহ শুরু করে৷ প্রথম বছরে সংগ্রহ হয়েছিল ২৫০ মিলিয়ন ডলার এবং ২০০৯ সালে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ