1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আড়িপাতার অভিযোগের তদন্ত

৬ জুন ২০১৪

এনএসএ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মোবাইল টেলিফোনে আড়ি পেতে এসেছে – এমন সন্দেহের ভিত্তিতে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জার্মানির ফেডারেল প্রসিকিউটার৷ ফলে জার্মান-মার্কিন সম্পর্কের উপর চাপ পড়তে পারে৷

https://p.dw.com/p/1CCsf
Bundeskanzlerin Merkel NSA Überwachung Obama
প্রতীকী ছবিছবি: imago/Robert Michael

বিষয়টা এতদিন প্রায় ধামাচাপা ছিল৷ এবার জার্মানির ফেডারেল প্রসিকিউটার আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করতে চলেছেন৷ ফলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এনএসএ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মোবাইল টেলিফোনে আড়িপাতার বিষয়টি সম্পর্কে আরও তথ্য জানা যাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে জার্মান-মার্কিন সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়ে পড়েছে৷ ওয়াশিংটন থেকে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি৷ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা শুধু বলেছেন, বন্ধু দেশের শীর্ষ নেতাদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷

কিন্তু বিষয়টি এবার আর সরকারি পর্যায়ে সীমাবদ্ধ রইলো না, জার্মানির বিচার বিভাগের হাতে চলে গেল৷ অর্থাৎ তদন্ত সংক্রান্ত খুঁটিনাটি কোনো না কোনো সময়ে প্রকাশ্যে এসে পড়বে৷ এমনকি তদন্তের স্বার্থে মস্কোয় রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা এডওয়ার্ড স্নোডেনকে জেরা করা হলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে পড়তে পারে – এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ জার্মান সংসদ বুন্ডেসটাগ-এর এক কমিটিও এনএসএ কেলেঙ্কারি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে৷ তারাও এডওয়ার্ড স্নোডেনকে জেরা করতে চায়৷

সরকারি কৌঁসুলির এই সিদ্ধান্তের নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷ ওবামা প্রশাসনের কাছে বিষয়টি শুরু থেকেই অস্বস্তিকর ছিল৷ ম্যার্কেল বলেছিলেন, বন্ধুদের মধ্যে গুপ্তচরবৃত্তি গ্রহণযোগ্য নয়৷ তবে ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে জার্মানি প্রকাশ্যে কিছু করবে না, এমন একটা প্রত্যাশাও কাজ করছিল৷ এবার ফেডারেল প্রসিকিউটার-এর এই সিদ্ধান্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ অন্যদিকে জার্মানির বিরোধী পক্ষ এবং জোট সরকারের শরিক সামাজিক গণতন্ত্রী দল শুধু ম্যার্কেলের ফোনে আড়িপাতার ঘটনা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়৷ জার্মান নাগরিকদের ফোন, ই-মেল ইত্যাদির উপর ঢালাও আড়িপাতার ঘটনার তদন্তের দাবি করছে তারা৷ প্রায় ২০০ নির্দিষ্ট অভিযোগ জমা পড়া সত্ত্বেও ফেডারেল প্রসিকিউটার জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ এখনো তাঁর কাছে নেই৷ ম্যার্কেলের মুখপাত্র বলেছেন, বিচার বিভাগের কাজের উপর কোনোরকম হস্তক্ষেপের ক্ষমতা সরকারের নেই৷ ফেডারেল প্রসিকিউটার আইন অনুযায়ী তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷

জার্মানিতে তথ্য সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়৷ ফলে সাধারণ মানুষও এনএসএ কেলেঙ্কারি নিয়ে চিন্তিত৷ যেখানে খোদ চ্যান্সেলর নিরাপদ নন, সেখানে তাদের উপর নজরদারি যে কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা বলাই বাহুল্য৷ বিশেষ করে যারা সাবেক পূর্ব জার্মানির কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা ‘স্টাসি'-র নজরদারির শিকার হয়েছেন, তাদের কাছে বিষয়টি আরও স্পর্শকাতর৷

আপাতত তদন্তের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে সরাসরি দায়ী করা হচ্ছে না৷ কিন্তু তদন্তে অগ্রগতি ঘটলে এনএসএ-র প্রধান বা অন্য কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ ফেডারেল প্রসিকিউটার জানিয়ে দিয়েছেন, এই মুহূর্তে চ্যান্সেলর ম্যার্কেলকে জেরা করার কোনো পরিকল্পনা নেই৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য