1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেল-মাক্রোঁ রাজি, কী করবে কাজি?

১৯ মে ২০২০

করোনা সংকটের ফলে ইউরোপের বিপর্যস্ত অর্থনীতি চাঙ্গা করতে জার্মান ও ফ্রান্স বিশেষ তহবিলের প্রস্তাব দিলেন৷ বাকি ইইউ দেশগুলি এমন সমাধানসূত্র মেনে নেবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় দেখা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3cRPg
ছবি: Reuters/K. Nietfeld

ইউরোপের চালিকা শক্তি বলে পরিচিত দুই দেশ – ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে বেশ কিছুকাল ধরে সমন্বয়ের অভাব দেখা যাচ্ছিল৷ ফ্রান্সের ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী’ প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ ও জার্মানির ‘সতর্ক’ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ইউরোপ সংক্রান্ত অনেক প্রশ্নে ভিন্ন অবস্থান নিয়ে চলেছিলেন৷ ব্রেক্সিটের পরেও সেই যৌথ নেতৃত্ব যথেষ্ট দুর্বল থেকে গেছে৷ এবার করোনা সংকট দুই নেতাকে আবার পরস্পরের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে৷ করোনা সংকটের ফলে ইউরোপে ভয়ঙ্কর মন্দার পূর্বাভাষের মুখে তাঁরা সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে চাইছেন৷

সোমবার ম্যার্কেল ও মাক্রোঁ এক ভিডিও কনফারেন্সের পর ইউরোপের অর্থনীতি আবার চাঙ্গা করতে তুলতে ইইউ-র উদ্দেশ্যে পাঁচ লাখ কোটি ইউরো অঙ্কের এক তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন৷ উল্লেখ্য, এতদিন তাঁদের মধ্যে এ বিষয়ে প্রবল মতপার্থক্য ছিল৷ মাক্রোঁ ইউরোপীয় স্তরে সব সদস্য দেশের জন্য এমন সহায়তার প্রস্তাব দিলেও ম্যার্কেল ঋণের দায় ভাগ করার আশঙ্কায় সেই ডাকে সাড়া দেন নি৷ নামে ‘করোনা বন্ড’ না হলেও এবার আর্থিক বাজার থেকে ইইউ-র নামে সেই অর্থ সংগ্রহ করে বিশ বছরের দীর্ঘমেয়াদী বাজেটের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ও অঞ্চলে অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের কাজে লাগানোর প্রস্তাব দিয়েছেন দুই নেতা৷ মাক্রোঁ বলেন, কোনো সদস্য দেশ নয়, বরং ইউরোপীয় কমিশনই এই ঋণের বোঝা বহন করবে৷ তাছাড়া এই এককালীন উদ্যোগ শুধু বর্তমান সংকটের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকবে৷

ঋণের বোঝা ভাগ করে নেবার প্রশ্নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলির মধ্যে তীব্র মতপার্থক্য রয়েছে৷ ফলে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ইইউ কমিশনের পক্ষে কোনো সুস্পষ্ট প্রস্তাব আনা বেশ কঠিন হয়ে উঠেছিল৷ এপ্রিল মাসের শুরুতে কিছু সার্বিক তা সত্ত্বেও আগামী ২৭শে মে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু প্রস্তাব পেশ করা কথা৷ তার আগে জার্মানি ও ফ্রান্সের যৌথ অবস্থানকে ‘গঠনমূলক' হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে ইইউ কমিশন৷ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেন, তাঁরাও একই দিশায় এগিয়ে এমন সমাধানসূত্রের খোঁজ করছিলেন৷

ফ্রান্স ও জার্মানির ঐকমত্য সত্ত্বেও ঋণের প্রশ্নে ইউরোপের মধ্যে বিভাজন দূর হবার সম্ভাবনা এখনো দেখা যাচ্ছে না৷ জার্মানি সুর নরম করলেও অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও সুইডেন এখনো যে কোনো কাঠামোর আওতায় ঋণের বোঝা ভাগ করার বিরোধিতা করে চলেছে৷ অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুয়র্ৎস সোমবার এমন দাবি করেন৷ মতবিরোধ দূর না হলে ইইউ-র দীর্ঘমেয়াদী বাজেটের কাঠামোর মধ্যে ঋণের এই প্রস্তাব অনুমোদন করা কঠিন হবে৷ ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে বাজেটের প্রশ্নে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হয় নি৷ তারপর করোনা সংকট নিয়ে সব দেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)

২৫ এপ্রিলের ছবিঘরটি দেখুন...