1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে তো আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না: আব্দুল হান্নান মাসুদ

১২ নভেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকার শুরুর দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বিভিন্ন দাবি মেনে নিলেও সাম্প্রতিক সময়ে কিছু দাবি মানেনি৷

https://p.dw.com/p/4mwWZ

এই অবস্থায় সবশেষ নিয়োগ পাওয়া তিন উপদেষ্টার মধ্যে দুইজনের পদত্যাগ দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা৷

এই দুইজন উপদেষ্টা হলেন, শিল্পগোষ্ঠী আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিন এবং চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী৷

এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে দেশের বাইরে থাকা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেশে ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন৷

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘৮ আগস্ট যখন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয় তখন প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেয়ার শর্ত হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি শর্ত দিয়েছিলেন যে, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের তিনি তার পছন্দ অনুযায়ী নেবেন৷ কিন্তু তাদের নিয়ে কোনো সমস্যা হলে তখন সেটা দেখা হবে৷ ফলে উপদেষ্টাদের তার পছন্দেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে৷ রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রস্তাব ছিলো৷ আমাদের পক্ষ থেকে ছিলো৷ সেখান থেকেও তিনি নিয়েছেন৷ কিন্তু পরে যে দুই দফা উপদেষ্টা নেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি আমাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শই করেননি৷''

আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘‘সেখ বশির উদ্দিন নিয়ে আমাদের তেমন কোনো আপত্তি না থাকলেও মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে তো আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না৷ কারণ, তিনি মুজিববাদের সমর্থক৷ তাকে ক্ষমা চাইতে হবে৷ তাদের নিয়োগ দেয়া নিয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি৷''

তার কথা, ‘‘সরকারের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব বাড়ছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না৷ তবে যোগাযোগ কমছে, যোগাযোগ কম হচ্ছে৷ এটা দিয়ে সরকার কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছে কিনা তা আমরা বোঝার চেষ্টা করছি৷ সেরকম কিছু হলে আমরা চূড়ান্ত অ্যাকশনে যাবো৷''

আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের ব্যাপারে ড. ইউনূসসহ উপদেষ্টা পরিষদ একমত ছিলো৷ রাজনৈতিক ঐক্যমতের দরকার ছিলো৷ সেটা না হওয়ায় রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করেননি৷ কিন্তু এই নতুন দুই উপদেষ্টার ব্যাপারে রাজনৈতিক ঐক্যমত আছে৷ প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলে সমস্যার সমাধান হবে আশা করছি৷''

তিনি বলেন, ‘‘আসলে সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন৷ তারা প্রতি সপ্তাহে কী করছেন তা জাতিকে জানাতে হবে৷ আমাদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে কিনা সেটা বিষয় নয়৷ তারা জাতির কাছে জবাবদিহিতা করলেই হবে৷''