1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোদী সরকারের বাজেট

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৫ জুন ২০১৪

জুলাই মাসে নতুন মোদী সরকারের প্রথম বাজেট সংসদে পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ ঐ বাজেটে আম জনতার প্রত্যাশা কতটা পূরণ হবে সেই নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদীর জনমোহিনী পথে না হাঁটার সম্ভাবনাই বেশি৷

https://p.dw.com/p/1CPMo
ভারতে মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিছবি: picture-alliance/dpa

মোদী সরকারের প্রথম কেন্দ্রীয় বাজেট সংসদে পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি আগামী ১০ই জুলাই৷ বাজেট তৈরির প্রস্তুতি চলেছে পুরোদমে, যেহেতু ক্ষমতায় আসার মাস দেড়েকের মধ্যেই বাজেট পেশ করতে হবে৷

বলা বাহুল্য, সরকার বদলের সঙ্গে অগ্রাধিকারেও বদল আসে৷ তারপরেও আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটে ব্যয়বরাদ্দ ও অগ্রাধিকারের প্রকৃত পরিবর্তনের পুরো প্রতিফল নাও থাকতে পারে, এমনটাই মনে করছে অর্থনৈতিক মহল৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অর্থ ও পরিকল্পনা কমিশনসহ প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও আমলাদের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন প্রায় রোজই৷ কারণ একটাই – হাতে সময় নেই৷ তাঁদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও ব্যয়বরাদ্দ সম্পর্কে তাঁদের নিজস্ব বক্তব্য জানতে চান৷ জানতে চান উন্নয়নী প্রকল্পগুলির সময়-ভিত্তিক রূপায়ন এবং সেই পথে বাধাবিপত্তি কী হতে পারে এবং সেগুলি দূর করার উপায়৷

Indien Rajnath Singh
মোদী সরকারের বাজেটে কি প্রত্যাশা পূরণ হবে?ছবি: Sam Panthak/AFP/GettyImages

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিপুল জনাদেশের ওপর দাঁড়িয়ে মোদীর কিন্তু জনমোহিনী পথে না হাঁটার সম্ভাবনাই বেশি৷ এর কারণটাও অত্যন্ত সহজ৷ বিগত সরকারের আমলে মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতির হাল ফেরাতে হলে কড়া সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া উপায় নেই৷ সেই অভিমুখে বাজেট পেশের আগেই ১৪ শতাংশের বেশি রেল ও মাল ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি৷ খুব শীঘ্রই বাড়তে চলেছে গ্যাসের দাম৷ এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী, তেলমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের মধ্যে উচ্চস্তরের বৈঠকে স্থির হয়েছে যে, গ্যাসের দাম এমনভাবে বাড়ানো হবে যাতে মুদ্রাস্ফীতির ওপর বাড়তি চাপ না পড়ে এবং বিদ্যুৎ ও সারে ভরতুকির পরিমাণ না বাড়ে৷ এছাড়া কেন্দ্রীয় বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি রাশ টানতে কিছু দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপের ইঙ্গিত থাকতে পারে৷ পাশাপাশি ঢেলে সাজানো হবে সরবরাহ ও বণ্টন ব্যবস্থা৷ আর আমজনতার রুজি-রোজগার বাড়ানোর সংস্থানকে দেয়া হতে পারে অগ্রাধিকার৷

অন্যদিকে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা কতটা মোদী সরকারের প্রথম বাজেটে প্রকাশ পাবে? মধ্যবিত্তদের করমুক্ত আয়ের ঊর্ধসীমা বাড়ানো হবো মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে তাল রেখে৷ বিনিয়োগে উৎসাহ জোগাতে শুল্কে কিছুটা ছাড়, অভ্যন্তরীণ ও সীমা শুল্কে পরোক্ষ কর-কাঠামোয় সামান্য পরিবর্তন, পণ্য ও পরিষেবা কর জিএসটি-র রূপায়ন ত্বরান্বিত করা এবং বিজেপির নির্বাচনি ইশতাহার অনুযায়ী ব্যয়বরাদ্দ বাড়ানো হতে পারে শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য সুবিধা ও শহরাঞ্চল প্রকল্পে৷ এই যেমন পাবলিক টয়লেট, পল্লি-আবাসন, রাস্তা, বিশেষ করে ম্যানুফ্যাকচারিং অঞ্চল গড়ে তোলা ইত্যাদি ক্ষেত্রে৷ এ রসঙ্গে যুক্ত হবে কৃষি, শিল্প ও অবকাঠামোর প্রসার৷ উন্নয়নের দিক থেকে শহর ও গ্রামের ব্যবধান যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা হবে৷ আসন্ন বাজেটে এ সবেরই একটা সবিস্তার রূপরেখা তুলে ধরা হবে, এমনটাই আশা করছে নাগরিক সমাজ৷

তবে বর্তমান বাজেটে আমূল কোনো পরিবর্তনের কথা না থাকার সম্ভাবনাই বেশি৷ কারণ এ বছরের ১৭ই ফেব্রুয়ারি পূর্বতন সরকার ২০১৪-১৫ সালের চার মাসের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেছিলেন৷ আর এবার, মোদী সরকার অবশিষ্ট আট মাসের বাজেট পেশ করবেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য