মোজা নিয়ে অন্যরকম কিছু তথ্য
শীতের সাথে মোজার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক – এ কথা সত্যি হলেও, মোজা বিভিন্ন সময়ের প্রতীকী চিহ্ন বা একটি মোজা কেন প্রায়ই হারিয়ে যায়, এমন কিছু তথ্য দিয়েই সাজানো হয়েছে এই ছবিঘরটি৷
শিশুদের জন্য মোজা
খোলা বাজারে ঘরে তৈরি মোজা বিক্রি হচ্ছে৷ এ সব বাজারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছোট বাচ্চা বা শিশুদের জন্য সুন্দর সুন্দর মোজা বিক্রি হয়৷
মোজা তৈরি করছেন বৃদ্ধা
সারা বছরই এই বৃদ্ধা মোজা বোনেন৷ এতে তাঁর অবসর সময় যেমন কাটে, আবার অন্য দিকে কিছু পয়সাও আয় হয়৷ মন্দ কি!
শিশু সৈন্যদের স্মরণে
ছবিতে জার্মানির অসনাব্র্যুক শহরের মেয়র ‘টাউন হল’-এর সিড়িতে দাঁড়িয়ে আছেন, মোজার বক্সটি নিয়ে৷ জার্মানি এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ৬,০০০ জোড়া মোজা বোনা হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ৬০,০০০ ইউরো৷ শিশু সেনা বন্ধের প্রতীক হিসেবে এই অর্থ প্রদান করা হবে শিশুসেনা বিরোধী একটি সংগঠনকে৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যে সব শিশু সৈন্য অংশ নেয়, তাদের কথা স্মরণেই এই সাহায্য৷
ময়লা মোজার গন্ধ!
একটি গবেষণার ফলাফলে জানা গেছে যে, ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী মশা মানুষের শরীরের গন্ধে আকৃষ্ট হয়েই কামড় বসায়৷ বিজ্ঞানীরা তা কাজে লাগিয়েই মশা নিধনের যন্ত্র বের করেছেন, যাতে মোজার গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে ঐ যন্ত্রে পা দিলেই মশা যায় মরে৷ এই গবেষক দলের প্রধান কেনিয়ার বিজ্ঞানী ফ্রেদ্রোস ওকুমু৷ এই গবেষণায় অর্থ সাহায্য দিয়েছে বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন৷
মোজার প্রদর্শনী
জার্মানির ব্রেমেন শহরে মোজা বিষয়ক একটি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল৷ যেখানে একজন মানুষ তাঁর জীবনে কতগুলো মোজা ব্যবহার করেন, তার একটা হিসেব দেওয়া হয়েছে৷ বলা বহুল্য, এই তথ্য জার্মানির মতো শুধু শীতপ্রধান দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য৷
নীল রং-এর মোজা
জার্মানদের বিয়েতে ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে কনেকে একটা নতুন জিনিস, একটা পুরনো, একটা কাছের মানুষদের কাছ থেকে ধার করা এবং একটা নীল রং-এর জিনিস পরতে হয়৷ একে সৌভাগ্যের প্রতীক বলেই মনে করা হয়৷ আদতে এই ঐতিহ্যের শুরু অ্যামেরিকায় হলেও, এখন সারা ইউরোপেই তা ছড়িয়ে গেছে৷ ছবিতে দেখুন বিয়ের কনে তাঁর বিয়ের ড্রেসের নীচে নীল মোজা পরছে৷
ফুটো মোজা
মোজার সামনের অংশ, অর্থাৎ বুড়ো আঙুলের জায়গাটা প্রায়ই ফুটো হয়ে যায়, কেন বলুন তো?
নারীদের ফ্যাশন মোজা
মোজা শুধু শীত নিবারণের জন্য নয়, পায়ের সৌন্দর্য্য চর্চায়ও লম্বা মোজা ব্যবহার করা হয়৷ তবে একথা ঠিক যে, এ সব মোজা সাধারণত শীতপ্রধান দেশের মেয়েরাই বেশি পরে থাকেন৷ এ ধরণের মোজা পায়ের সৌন্দর্য্য অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়, অর্থাৎ পা দুটোর ত্বক অনেক বেশি মসৃণ, চকচকে এবং আকর্ষণীয় লাগে৷ তাছাড়া মোজা শীত থেকে খানিকটা হলেও যে রক্ষা করে!
মোজা নিয়ে গবেষণা
বোরিস গ্রুনভাল্ডের সংগ্রহ করা বিভিন্ন রকমের মোজা ঝুলছে ছবিতে৷ তিনি জার্মানির ম্যুন্সটার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাফিক ডিজাইনের ওপর ডিপ্লোমা করেছেন৷ এই ছাত্রের ‘থিসিস’ বা গবেষণা-কর্মে এক জোড়া মোজার একটি প্রায়ই খুঁজে পাওয়া যায় না কেন – এই মজার বিষয়টিও স্থান পেয়েছে৷
দুর্গন্ধ যুক্ত মোজা
মোজার কথা মনে হলেই কেমন যেন নাকে গন্ধ লাগে, তাই না? আর তা শুধু যিনি মোজা পরে থাকেন তাঁর কাছেই নয়, আশেপাশে যাঁরা থাকেন সেই দুর্গন্ধ তাঁদের কাছে আরো বেশি বিরক্তিকর মনে হয়৷
দুর্গন্ধহীন মোজা
বার্লিনের ব্যবসায়ী ডেটলেফ মিলিৎস আরাম করে বসে তাঁর নিজ দোকানে মোজা দেখাচ্ছেন৷ যে মোজায় রয়েছে শতকরা ১ ভাগ বিশুদ্ধ রূপা৷ আর সেই মোজা পায়ে দিলে দুর্গন্ধ তো হবেই না, বরং এ মোজা পরে ৯০ মিনিট ফুটবল খেলার পরও মোজা থেকে কোনো গন্ধ বের হবে না৷ ছবিটি ২০০৩ সালে তোলা৷
শিশুদের মোজা
একেবারে ছোট্ট শিশু বা ‘বেবি’-দের পা গরম রাখতে প্রায় সবসময়ই মোজা পরানো হয়ে থাকে৷ তবে ছবির এ মোজা সে মোজা নয়৷ এই মোজা শিশুদের হৃদয়ের স্পন্দন মাপার জন্য বিশেষ ধরনের ডাক্তারি মোজা!
মেয়েদের বাহারী মোজা
এসব বাহারী মোজা দিয়ে শীত নিবারণ তো হচ্ছেই আবার ফ্যাশনও হচ্ছে৷এসব মোজা সাধারণত পোশাকের সাথে রং মিলিয়ে পরা হয়৷