মেসি বনাম এমবাপ্পে: ড্রিবলিং বনাম স্পিড
গতিতে সেরা ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে৷ আর আর্জেন্টাইন প্লেমেকার লিওনেল মেসি হলেন ড্রিবলিংয়ে অনবদ্য৷ ২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে মুখোমুখি একই ক্লাব পিএসজিতে খেলা দুই মহাতারকা৷ কে কোথায় এগিয়ে? চলুন দেখা যাক৷
গোল স্কোরিং
অভিজ্ঞতায় মেসি এগিয়ে৷ সর্বকালের সেরাদের একজনের তকমা লেগেছে গায়ে আগেই৷ খেলেছেন পাঁচটি বিশ্বকাপ৷ গোল করেছেন ১১টি৷ সে হিসেবে এমবাপ্পে এগিয়ে, দুই বিশ্বকাপেই তার গোল ৯টি৷ তবে ২০২২ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল পর্যন্ত মেসি আর এমবাপ্পের গোলসংখ্যা সমান ৫টি করে৷
গতি
মেসি আর এমবাপ্পেকে ১০০ মিটার দৌঁড়ে নামিয়ে দিলে কে জিতবেন? উত্তর জানা৷ গত বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কাছে আর্জেন্টিনার হারের অন্যতম কারণ ছিল এমবাপ্পের গতি৷ তবে মেসির সৃজনশীলতা ও চিন্তার গতি নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই৷
ড্রিবলিং
ফু্টবলের ব্যক্তিগত স্কিল বলতে ড্রিবলিংয়ে কে সেরা সেটিই অন্যতম বিবেচ্য৷ ১০০ মিটার দৌঁড়ে যদি অনেক বাধা বসিয়ে দেয়া হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবে মেসিই জয়ী হবেন৷
পাসিং
নেদারল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচে মলিনাকে দেয়া মেসির পাসটির কথা খেয়াল আছে? এমন পাস দেয়া তো দূরের কথা, বেশিরভাগ খেলোয়াড় সেটি দেখবেনই না৷ এমবাপ্পেও একাধিক অ্যাসিস্ট করে দলকে জয়ের পথ দেখিয়েছেন৷ তবে পাস ও অ্যাসিস্টে বিশ্লেষকরা মেসিকে এগিয়ে রাখবেন৷
দূরত্ব
মাঠে কে কতটা দৌঁড়ান? মেসিকে বেশিরভাগ সময়ই হাঁটতে বা জগিং করতে দেখা যায়৷ যেমন রেয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে এক ম্যাচে তিনি ম্যাচের ৮৩ ভাগ সময় শুধু হেঁটেছেন৷ অথচ একটি করে গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন৷ এমবাপ্পেকেও অন্য খেলোয়াড়দের পেছনে খুব একটা দৌঁড়াতে দেখা যায় না৷
নেতৃত্ব
এই বিশ্বকাপে এক ভিন্ন মেসিকে দেখছে সবাই৷ কতকটা আগ্রাসী, কতকটা আবেগপ্রবণ৷ নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে জয়ের পর উদযাপন বা লুই ফন গালের সঙ্গে বিতণ্ডা এক ভিন্ন মেসিকে চিনিয়েছে৷ তিনি যেন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷ সে তুলনায় এমবাপ্পের বয়স মাত্র ২৩৷ তবে মাঠের অগ্রভাগে তার ভুমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷