1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্যাতনের চিহ্ন ঢাকবে মেকআপ?

৩ ডিসেম্বর ২০১৬

বিশ্ব জুড়ে প্রতিবাদের মুখে দুঃখ প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে মরক্কোর একটি টেলিভিশন চ্যানেল৷ ২৩ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার নারীরা কীভাবে তাদের নির্যাতনের চিহ্ন মেকআপের সাহায্যে ঢাকবেন সেই টিপস দেয়া হয়৷

https://p.dw.com/p/2TYqS

মরক্কোর টিভি উপস্থাপিকা নাসিমা এল হর
ছবি: Getty Images/AFP/A. Senna

২৩ নভেম্বর বুধবার নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা নিরসনের আন্তর্জাতিক দিবসে এই অনুষ্ঠানটি প্রচার করে মরক্কোর সরকারি চ্যানেল টুএম৷ সাবাহায়ৎ বা সুপ্রভাত নামের অনুষ্ঠানটিতে এটি প্রচার করা হয়৷ অনুষ্ঠানটিতে দেখানো হচ্ছিল এক মেক আপ আর্টিস্ট এমন একজন নারীর মেকআপ করছেন, যার মুখে নকল কালসিটে দাগ দেয়া রয়েছে৷

মেকআপ শিল্পী বলছেন, ‘‘রাতে আপনার স্বামী, বাবা বা ভাই আপনাকে মেরেছেন আপনার চোখে মুখে এমন কালসিটে পড়েছে৷ এ অবস্থায় আপনি অফিস যাবেন কীভাবে? আপনাদের জন্য তাই আজকের টিপস, নির্যাতনের চিহ্ন ঢাকার মেকআপ৷'' এরপর কীভাবে মেকআপের সাহায্যে নির্যাতনের চিহ্ন আড়াল করা যায় তার টিপস দেন তিনি ৷

প্রথমে বুধবার চ্যানেলের ওয়েবসাইটে এটি পোস্ট করার পর শুক্রবারের মধ্যে এটা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে৷ তখন কর্তৃপক্ষ তা ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলতে বাধ্য হয়৷ বেশিরভাগ মানুষ ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘আপনি আপনার বাবা-মা ও ভাইয়ের হাতে মার খেয়েছেন? আপনার জন্য সমাধান দেকে টুএম চ্যানেল৷' চ্যানেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে দুঃখপ্রকাশ করলেও ২৮ তারিখ ফেসবুকে আবারও ভিডিওটি পোস্ট করা হয়৷ এরপর এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে জানায় কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু এবার রোষের আগুনে ঘি ঢালে তা৷ চ্যানেলটি দাবি করেছে নারীদের সম্মান জানাতেই তাদের এই অনুষ্ঠান৷ তাদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার তারা৷ 

তবে বিক্ষুব্ধ দর্শকদের অভিযোগ, এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নারী নির্যাতনকে আরো উসকে দেয়া হয়েছে৷ এটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট করার পর থেকে সমালোচনার ঝড় উঠে, যা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে৷ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়৷ নারী নির্যাতনের শিকার হলে বিচারের জন্য আদালতের দারস্থ না হয়ে মেকআপের সাহায্যে নির্যাতনের চিহ্ন ঢেকে কেন অফিস বা চাকরি ক্ষেত্রে যাবে এ প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই৷ নারী বিষয়ক এই অনুষ্ঠানটি ঐ চ্যানেলে প্রতিদিন সকালে প্রচারিত হয়৷

এদিকে, মরক্কোর অডিও ভিজুয়াল মন্ত্রণালয়ে অন্তত দুই হাজার ব্যক্তি চ্যানেলের বিরুদ্ধে একটি আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন৷ এরপর মন্ত্রণালয় একটি জরুরি বৈঠক ডাকে৷ সরকারি ‘টুএম' চ্যানেল এ সাবাহায়ৎ ছ'বছর ধরে প্রচার হয়ে আসছে৷ যার বক্তব্য ‘‘প্রতিটি নারীর প্রতিটি বিষয় মূল্যবান''৷ অনুষ্ঠানটির প্রধান প্রযোজক এক বিবৃতিতে জানান, ‘‘‘টুএম'-এর পুরো টিমের পক্ষ থেকে আমি এই অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি৷ আমরা আপনাদের অনুভূতিকে সম্মান জানাই৷ আশা করছি ভবিষ্যতে এমন আর কোনো ঘটনা ঘটবে না৷''

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

এ ঘটনার মধ্য দিয়ে নারী নির্যাতনকে আরো উসকে দেয়া হয়েছে – এ কথাটা কি আপনি সমর্থন করেন? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান