1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মে পর্যন্ত খালেদার জামিন স্থগিত

১৯ মার্চ ২০১৮

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের রায় আগামী মে মাস পর্যন্ত স্থগিত করেছে হাইকোর্ট৷ এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি৷

https://p.dw.com/p/2uZmK
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A.M. Ahad

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের জন্য কারাদণ্ড পাওয়া খালেদা জিয়ার জামিন অন্তত আগামী মে মাস পর্যন্ত স্থগিতই থাকছে৷ তাঁর জামিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের অনুমতি দেয়া হয়েছে৷ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ সোমবার সকালে এ আদেশ দেন৷

রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আপিল

এর আগে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া বিএনপি নেত্রীর চার মাসের জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট৷ সেই জামিনের রায় স্থগিত চেয়ে গত মঙ্গলবার দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ আলাদা আলাদা আবেদন করে৷ তারা আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করে৷

পরে তা চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালতে উঠলে তিনি তা নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান৷ সেই শুনানি করে বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ রবিবার পর্যন্ত জামিন স্থগিতের আদেশ দেন৷ রবিবার লিভ টু আপিলের ওপর  সব পক্ষের শুনানি শেষে সেই স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন আপিল বেঞ্চ৷ আপিল করার জন্য ৮ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে৷ সেদিন শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷ এ সময়ের মধ্যে পক্ষগুলোকে আপিলের সংক্ষিপ্ত সার জমা দিতে বলা হয়েছে৷

আইনজীবীরা জানিয়েছেন যে, যেহেতু এ মামলায় জামিন স্থগিত হয়েছে, এবং কুমিল্লার মামলাসহ কয়েকটি মামলায় জামিনের প্রয়োজন রয়েছে, তাই এখনই কারাগার থেকে বের হতে পারছেন না খালেদা জিয়া৷

‘গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক’

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়াকে জামিন না দেয়াকে ‘গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক' বলে উল্লেখ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷

সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আদালতের রায়ের পর এমন মন্তব্য করেন তিনি৷

ফখরুল বলেন, ‘‘কফিনে শেষ পেরেকটি মারা হয়েছে আজকে, আমি মনে করি দেশনেত্রীকে জামিন না দিয়ে৷’’

বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ, বেগম জিয়াকে কৌশলে আটকে রাখা হচ্ছে৷ তিনি মনে করেন, সরকারের হস্তক্ষেপেই এই কাজটি করা হচ্ছে৷

‘‘আমরা দুর্ভাগ্যক্রমে প্রথম থেকে লক্ষ্য করেছি যে, দেশনেত্রীর জামিন ও তাঁকে কারাগার থেকে বের করে আনবার যে আইনি প্রক্রিয়া, সেই আইনি প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত সচেতনভাবে বাধা দিচ্ছে সরকার৷’’

এ সময় তিনি জামিন স্থগিতের প্রতিবাদে দুই দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন৷ এর মধ্যে আগামী ২০ মার্চ সারা দেশে বিক্ষোভ ও ২৯ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার ঘোষণা দেন৷

এদিকে, স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রায়ের ঘোষণার পর রাজধানীর ফকিরাপুলে দশ মিনিটের ঝটিকা মিছিল করেছে ছাত্রদল৷

জেডএ/ এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)