মূল্যবৃদ্ধি ও তেলেঙ্গানা ইস্যু নিয়ে আজও সংসদ উত্তাল
২৩ নভেম্বর ২০১১আজ শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেও সংসদের কাজকর্ম অচল হয়ে পড়ে৷ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, কালো টাকা আর তেলেঙ্গানা ইস্যু নিয়ে উত্তাল সংসদ৷ বিজেপি এবং বামদলগুলি হাতে হাত মিলিয়ে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত মুলতুবি প্রস্তাবের ওপর আলোচনা চায় ১৮৪ ধারার অধীনে যেখানে আলোচনা শেষে ভোটাভুটির সংস্থান আছে৷ সরকার চাইছে আলোচনা হোক ১৯৩ ধারার অধীনে যেখানে ভোটাভুটি হবেনা৷
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী রাজীব শুক্লা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মূল্য বৃদ্ধি ইস্যুকে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে বিরোধী পক্ষ৷ চেঁচামেচি করলে এর সমাধান হবেনা৷ কোন্ রুলে আলোচনা হবে সেটা বড় কথা নয়৷ মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সত্যিই যদি তারা আগ্রহী হয়, তাহলে আলোচনায় যোগ দিয়ে সমাধানের সুপারিশ করুক৷
বিজেপি সাংসদ ভেঙ্কাইয়া নাইডুর মতে, বিরোধীপক্ষ আলোচনা চায় ভোটাভুটি সাপেক্ষে৷ সরকার রাজি হচ্ছেনা কেন? ভয় কিসের? তেলেঙ্গানা ইস্যু নিয়ে টিআরএস সাংসদরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে অধ্যক্ষের মঞ্চের সামনে জড়ো হয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন৷ তুমুল হৈহট্টগোলে সংসদের উভয়সভার অধিবেশন আজকের মত মুলতুবি হয়ে যায়৷ কংগ্রেস সাংসদ পুনিয়ার মন্তব্য, মঞ্চের সামনে গিয়ে হট্টগোল করাটা নিন্দনীয়৷ সংসদের অবমাননা৷
মূদ্রাস্ফীতি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে বৈশ্বিক স্তরে৷ তার আঁচ পড়ছে ভারতে৷ বিশ্ব বাজারে দাম বেড়েছে বিশেষ করে জ্বালানি, সার, ধাতু ও খাদ্যসামগ্রীর৷ আজকের বিশ্বে কোনো দেশই বিচ্ছিন্ন নয়৷
মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে বাম-বিজেপি ঐক্য ভাঙতে আসরে নামেন প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ বৈঠক করেন বামদল ও বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে৷ বোঝাতে চেষ্টা করেন আলোচনার পর ভোটাভুটিতে সরকার যদি হেরে যায়, তাহলে নির্বাচন অবধারিত৷ সেজন্য কী তারা তৈরি? তাতেও শেষপর্যন্ত বরফ গলেনি৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক