মুসলিম নোবেল বিজয়ীরা
১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হচ্ছে৷ তবে প্রথম মুসলমান নোবেলজয়ীর দেখা পাওয়া যায় ১৯৭৮ সালে৷ এখন পর্যন্ত ১২ জন মুসলিম নোবেল পেয়েছেন৷
আনোয়ার আল-সাদাত, ১৯৭৮
মিশর আর ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি স্থাপনে ১৯৭৮ সালে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল৷ তাই মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার আল-সাদাত ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মেনাখেম বেগিন নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন৷ ফলে প্রথম মুসলিম নোবেলজয়ী হন আনোয়ার আল-সাদাত৷
মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, ১৯৭৯
ইলেক্ট্রোউইক তত্ত্বের জন্য পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পান পাকিস্তানের আব্দুস সালাম৷ সঙ্গে ছিলেন স্টিভেন ওয়াইনবার্গ ও শেল্ডন লি গ্ল্যাশো৷
নাগিব মাহফুজ, ১৯৮৮
সাহিত্যে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম হলেন মিশরের মাহফুজ৷ ৩৪টি উপন্যাস, সাড়ে তিনশ’র বেশি ছোটগল্প, কয়েক ডজন চলচ্চিত্রের গল্প লিখেছেন তিনি৷
ইয়াসির আরাফাত, ১৯৯৪
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনায় অবদান রাখায় শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইয়াসির আরাফাত, শিমন পেরেস ও ইৎশাক রাবিন৷
আহমেদ জেওইল, ১৯৯৯
প্রথম মুসলিম রসায়নবিদ হিসেবে নোবেল পান মিশরের জেওইল৷
শিরিন এবাদি, ২০০৩
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় অবদানের জন্য শান্তিতে নোবেল পান ইরানের শিরিন এবাদি৷
মোহামেদ এল বারাদেই, ২০০৫
সামরিক কাজে পরমাণু শক্তির ব্যবহার প্রতিরোধ এবং পরমাণু শক্তির নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতে ভূমিকা রাখায় মিশরের কূটনীতিক মোহামেদ এল বারাদেই ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা আইএইএ-কে শান্তিতে নোবেল দেয়া হয়৷
মুহাম্মদ ইউনূস, ২০০৬
দরিদ্র জনগণের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের সুযোগ তৈরিতে ভূমিকা রাখায় শান্তিতে নোবেল পান বাংলাদেশের ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক৷
ওরহান পামুক, ২০০৬
‘মাই নেম ইজ রেড’ ও ‘স্নো’র মতো উপন্যাসের লেখক তুরস্কের পামুক৷ নোবেল পাওয়া প্রথম তুর্কি নাগরিক তিনি৷
তাওয়াক্কুল কারমান, ২০১১
নারীর নিরাপত্তা ও নারীর অধিকারের জন্য অসহিংস আন্দোলন করায় আরও দুই নারীর সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইয়েমেনের কারমান৷ নোবেল পাওয়া প্রথম আরব নারী ও একমাত্র ইয়েমেনি নাগরিক তিনি৷
মালালা ইউসুফজাই, ২০১৪
সবচেয়ে কম বয়সি নোবেলজয়ী হচ্ছেন পাকিস্তানের ইউসুফজাই৷ মেয়েদের শিক্ষা প্রসারে ভূমিকা রাখায় এই খেতাব পান তিনি৷
আজিজ সানজার, ২০১৫
ডিএনএ সংশোধন নিয়ে কাজ করায় থমাস লিন্ডাল ও পল মডরিচের সঙ্গে যৌথভাবে রসায়নে নোবেল পান তুরস্কের সানজার৷