1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি

জাহিদুল হক১৭ জুলাই ২০১৩

জামাত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলায় ফাঁসির রায় হয়েছে৷ ফেসবুক ও ব্লগে অনেকে রায়কে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন৷ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ৷

https://p.dw.com/p/199Vh
Members of Bangladesh Muktijoddha Sangsad, a welfare association for combatants who fought during the war for independence from Pakistan in 1971, shout slogans after a war crimes tribunal sentenced Ali Ahsan Mohammad Mojaheed, 65, secretary general of the Jamaat-e-Islami party, to death in Dhaka July 17, 2013. A Bangladesh war crimes tribunal sentenced top Islamist politician, Mojaheed to death on Wednesday for crimes during a 1971 war of independence, as his supporters clashed with security forces in different parts of the country. REUTERS/Stringer (BANGLADESH - Tags: POLITICS CIVIL UNREST)
ছবি: Reuters

ওয়াসেক বিল্লাহ সৌধ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘এই রায় মানি৷'' তাজুল তাজ লিখেছেন, ‘‘গরু মেরে জুতা দান!'' আর শরিফুল হাসান লিখেছেন, ‘‘যে যাই বলুন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আমি শতভাগ তৃপ্ত না হলেও এ পর্যন্ত যা পেয়েছি তাতেও আমি অনেক খুশি৷ আজকে প্রমাণিত হচ্ছে জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের দল৷ গোলাম আযম-মুজাহিদ-কাদের মোল্লাদের আজকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন দেয়া হচ্ছে৷ আমরা বলতে পারছি তারা প্রমাণিত রাজাকার৷ অসম্ভবের এই বাংলাদেশে এটাই বিরাট পাওয়া৷''

পাশাপাশি তিনি সরকারের কাছে দুটো দাবি জানিয়েছেন৷ এক, রায়গুলো কার্যকর করা৷ দুই, একটা আইন করা যেন যুদ্ধাপরাধীদের কেউ পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার মাধ্যমে মুক্তি পেতে না পারেন৷

একই দাবি জানানো হয়েছে ফেসবুকের ‘শাহবাগে সাইবার যুদ্ধ' পেজ থেকে৷ তারা বলছে ১৯৮৬ সনে বাংলাদেশ যে জেনেভা কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে তাতে একটা বিষয় নিশ্চিত করা হয়েছে যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীকে রাষ্ট্র, রাষ্ট্রপতি বা অন্য কেউ ক্ষমা করতে পারবে না৷ ‘‘এখন শুধু সংবিধান সংশোধন করে তা নিশ্চিত করতে হবে৷''

আশরাফুল আলম খোকন তাঁর প্রতিক্রিয়া গোলাম আযমের রায়ের বিষয়টিও নিয়ে এসেছেন৷ তিনি বলছেন, ‘‘...তবে যত টারেই ফাঁসি দেন না কেন মাননীয় আদালত গোলামের ফাঁসির দাবি কিন্তু ছাড়ছি না৷''

মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ্ সামহয়্যার ইন ব্লগে লিখেছেন, ‘‘মুজাহিদের ফাঁসির রায়ে ১৯৭১ সালের গণহত্যায় জামাতের সম্পৃক্তির কথা পঞ্চমবারের মতো এসেছে৷ কিন্তু সব থেকে বড় কথা হচ্ছে, যেটা জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির সব সময় অস্বীকার করে এসেছে, সেই বুদ্ধিজীবী হত্যায় জামাতের সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা আদালতে প্রমাণিত হয়েছে৷''

তবে মুজাহিদের বিরুদ্ধে দেয়া রায়ে সবাই খুশি হতে পারেনি৷ ফেসবুকে ‘বাঁশেরকেল্লা' নামক একটি পেজে লেখা হয়েছে, ‘‘ট্রাইব্যুনাল আবারো প্রমাণ করল যে তাদের একমাত্র কাজই হচ্ছে দোষী সাব্যস্ত করা৷ এই ট্রাইব্যুনাল মানবাধিকার বা আইনের শাসনের কোনো নীতিই অনুসরণ করেনি৷ তাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো ধর্মীয় নেতাদের ফাঁসি দেয়া আর বাংলাদেশ থেকে ইসলামি আন্দোলন বিলুপ্ত করা৷''

পেজের এই স্ট্যাটাসের নীচে শাওন শাহরিয়ার মন্ত্রী থাকাকালীন মুজাহিদের কিছু ভাল ভাল কীর্তির কথা তুলে ধরেছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য