1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেওয়া তিন ‘রাজাকারের' ফাঁসি

১৯ মে ২০২২

মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৌলভীবাজারের বড়লেখার দুই ভাইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত৷ এর মধ্যে দুইজন ভারতে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বলে তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4BVIY
ছবি: Nerijus Liobe/Zoonar/picture alliance

দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীরা হলেন আব্দুল মান্নান ওরফে মনাই, আব্দুল আজিজ ওরফে হাবুল এবং তার ভাই আব্দুল মতিন৷ আব্দুল মতিন পলাতক; বাকি দুজন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷

বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল৷ ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার এবং কে এম হাফিজুল আলম৷

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন এ মামলায় যে পাঁচ দফা অভিযোগ এনেছিল, তার সবগুলো প্রমাণিত হওয়ায় তিন আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়৷

আসামিদের মধ্যে মনাইয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন, হাবুলের পক্ষে ছিলেন আব্দুস সাত্তার পালোয়ান৷ হাবুলের ভাই পলাতক আব্দুল মতিনের পক্ষেও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে আব্দুস সাত্তার পালোয়ানই শুনানি করেন৷

মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে রাজাকার বাহিনীতে

ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা বলছে, আজিজ ও মতিন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভারতে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন৷ প্রশিক্ষণ শেষে পালিয়ে বড়লেখায় এসে তারা হানাদার বাহিনীর কাছে আত্নসমর্পণ করেন এবং রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন৷ তখন তাদের সাথে যোগ দেন মান্নান৷

২০১৬ সালের ১ মার্চ গ্রেপ্তার হওয়ার আগে আব্দুল আজিজ বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন৷ আর পলাতক মতিন জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করতেন৷

তদন্ত সংস্থার ভাষ্য অনুযায়ী, আসামি মান্নান ওরফে মনাই ১৯৭১ সালে জামায়াতের তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন৷

মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বড়লেখা থানা শান্তি কমিটির সদস্য হন এবং রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন৷ ২০১৬ সালের ১ মার্চ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে৷

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়ানমিন মুন্নি বলেন, আসামিরা নিজেদের ‘মুক্তিযোদ্ধা' হিসেবে দাবি করলেও ট্রাইব্যুনালে এ বিষয়ে তারা যথাযথ প্রমাণ দিতে পারেননি৷

 ‘‘তারা যে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে গিয়ে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়ে হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতনসহ অন্যান্য অপরাধের সাথে জড়িত ছিল তা ১৭ জন সাক্ষীর দেওয়া সাক্ষ্য ও দলিলপত্রে প্রমাণিত হয়েছে৷ আমরা তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়েছি৷’’

এনএস/জেডএইচ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান