1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘গেরিলা’

১৬ মার্চ ২০১১

একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু , স্বাধীনতা সংগ্রামে ঢাকা শহরের অসংখ্য গেরিলা লড়াইয়ে ছিল যার নেতৃত্ব৷ আর স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনকে আলোকিত করতে তিনি পালন করে চলেছেন অগ্রণী ভূমিকা৷

https://p.dw.com/p/10ZgI
ছবিটিতে যুক্ত করা হয়েছে নির্মাতার কিছু প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাছবি: AP

স্বাধীনতার ৪০ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে বাচ্চু নির্মাণ করেছেন চলচ্চিত্র ‘গেরিলা'৷ সৈয়দ শামসুল হকের ‘নিষিদ্ধ লোবান' উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এ ছবিটি পহেলা বৈশাখে মুক্তি পাচ্ছে৷

‘গেরিলা' নিয়ে বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর বিশেষ আয়োজনে বলা হয়েছে, স্বাধীনতার প্রায় ৪০ বছর পূর্ণ হতে চলেছে৷ কিন্তু গত চার দশকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মনে রাখার মতো চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে কিনা এ নিয়ে বিতর্ক আছে৷ একজন মুক্তিযোদ্ধা যখন নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, তখন প্রত্যাশা বেড়ে যায় ৷ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও নাট্য-ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ নির্মিত চলচ্চিত্র ‘গেরিলা' নিয়ে প্রত্যাশা তাই অনেক বেশি৷ ছবির শুটিং পরবর্তী এডিটিং ও অন্যন্য টেকনিক্যাল কাজ শেষ করে সম্প্রতি নির্মাতা ভারতের মুম্বই থেকে দেশে ফিরেছেন৷ সেন্সর বোর্ডে ছবির প্রিন্ট জমা দেওয়া হয়েছে৷ আগামী পহেলা বৈশাখ ‘গেরিলা' ছবিটি সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে৷

ছবিটিতে যুক্ত করা হয়েছে নির্মাতা নাসির উদ্দীন ইউসুফের মুক্তিযুদ্ধের কিছু প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা৷ এ সম্পর্কে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘সৈয়দ শামসুল হকের ‘নিষিদ্ধ লোবান' উপন্যাস এবং মুক্তিযুদ্ধে আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘গেরিলা' ছবিটি৷ চিত্রনাট্য করেছি যৌথভাবে আমি ও এবাদুর রহমান৷ আমি মুক্তিযুদ্ধের একটি বাস্তব চিত্র ছবিতে তুলে ধরতে চেয়েছি৷ এতো বছর পর মুক্তিযুদ্ধের ছবি বানিয়েছি আজকের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের আবেদন তুলে ধরার জন্য৷

‘গেরিলা' ছবিটিতে অভিনয় করেছেন সহস্রাধিক শিল্পী৷ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, ফেরদৌস, শতাব্দী ওয়াদুদ, এটিএম শামসুজ্জামান, পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়, মাসুম আজিজ, শম্পা রেজা, ওমর আয়াজ অনি, শ্যামল প্রমুখ৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম