মুক্ত জীবনেও ওরা অসহায়
আইএস জঙ্গিদের অকথ্য নির্যাতন সহ্য করেছে তারা৷ শৈশবেই হয়েছে ধর্ষণের শিকার, বাধ্য হয়েছে বিয়ে করতেও৷নির্যাতনের মুখে যুদ্ধও করতে হয়েছে অনেক শিশুকে৷ ছবিঘরে থাকছে তাদের কথা...
হত্যাযজ্ঞ
২০১৪ সালে সিরিয়ায় অন্তত ১০হাজার ইয়াজিদিকে হত্যা করে আইএস৷ নিহতরা সবাই পুরুষ৷ ১২ বছরের বেশি বয়সি সব ছেলে শিশুকেও হত্যা করে আইএস জঙ্গিরা৷ এ পর্যন্ত অন্তত ৭০টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে৷
নারী ও শিশু অপহরণ, নিপীড়ন, ধর্ষণ
১২ বছরের বেশি বয়সি সব পুরুষকে হত্যা করলেও সাত হাজার নারী ও শিশুকে অপহরণ করে নিপীড়ন করা হয়, ধর্ষণ করে বিক্রি করে দেয়া হয়৷
পরিবারে ফিরেছে যারা
আইএসকে যুদ্ধে হারিয়ে দুই হাজার শিশুকে উদ্ধার করে কুর্দি যোদ্ধারা৷ পরে নিজ নিজ পরিবারে ফিরিয়ে দেয়া হয় তাদের৷ তবে পরিবারে ফিরলেও আইএস শিবিরের দুঃসহ স্মৃতি তাদের ছাড়েনি৷
পুরুষ মানেই আতঙ্ক
সিরিয়ার বাগুজে আইএস-কে হারানোর পর সেখান থেকে এক হাজার ৪১ জন শিশুকে উদ্ধার করে কুর্দি যোদ্ধারা৷ উদ্ধার করা শিশুদের মধ্যে এমন কিশোরীও রয়েছে যাদের ধর্ষণ, নির্যাতনের পর বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়৷ বিভীষিকাময় দিনগুলোর স্মৃতি তাদের মনে এখনো তাজা, এখনো পুরুষ দেখলেই ভয় পায় তারা৷ এমনকি নিজের বাবা বা ভাইকে দেখলেও আঁতকে ওঠে তারা৷
প্রাণ বাঁচাতে যোদ্ধা
ছেলে শিশুদের গল্পটা অন্যরকম৷ বয়স ১২ বছরের চেয়ে কম ছিল বলে আইএস তাদের হত্যা করেনি৷ তবে পরে যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করেছে৷ অ্যামনেস্টিকে সাহির নামের এক শিশু জানিয়েছে, যুদ্ধ করতে রাজি না হওয়ায় আইএস যোদ্ধারা কয়েকদিন খেতে দেয়নি, প্রতিদিন প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে পিটিয়েছে৷ ক্ষুধা আর নির্যাতন সইতে না পেরে একসময় যুদ্ধ করতে রাজি হয়ে যায় সাহির৷
ওদের সাহায্য দরকার
আইএস শিবির থেকে উদ্ধার করা শিশুদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ ‘লিগেসি অফ টেরর : দ্য প্লাইট অফ ইয়াজিদি চাইল্ড সারভাইভার্স অফ আইসিস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, উদ্ধার করা ইয়াজিদি শিশুদের মানসিক সুস্থতা ফেরাতে, তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ সহায়তা দরকার৷