মিয়ানমারের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা
মিয়ানমারে গত এক সপ্তাহের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে৷
সোনার দোকান থেকে শুরু
মার্চের ২০ তারিখে রাজধানী নেপিদ থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরের শহরে মেইকটিলার একটি সোনার দোকানে তর্কাতর্কি থেকে দাঙ্গার শুরু৷ বার্তা সংস্থাগুলোর খবর অনুযায়ী, দোকানের মালিক ছিলেন মুসলমান আর ক্রেতা এক বৌদ্ধ দম্পতি৷
পুড়ছে মসজিদ
সশস্ত্র দাঙ্গাকারীরা একাধিক মসজিদ ও বাড়িঘর পুড়িয়েছে৷ রাস্তায় অগ্নিদগ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে৷ এছাড়া তারা পথে সাংবাদিকদের ভয়ও দেখিয়েছে৷ দাঙ্গাকারীদের মধ্যে বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও ছিল বলে প্রকাশ৷
সব শেষ!
ছবিতে এক ব্যক্তিকে দাঙ্গায় পুড়ে যাওয়া এলাকা পরিদর্শন করতে দেখা যাচ্ছে৷
সরকারের উদ্যোগ
সহিংসতা শুরুর পর মিয়ানমার সরকার বিভিন্ন স্থানে কারফিউ জারি করে৷ এছাড়া নিয়োগ করে দাঙ্গা পুলিশ৷
পাহারায় পুলিশ
অস্ত্র হাতে মিয়ানমারের নিরাপত্তা রক্ষীদের মেইকটিলা শহর পাহারা দিতে দেখা যাচ্ছে৷
মুসলিম নেতাদের দাবি
মিয়ানমারের মুসলিম নেতারা বলছেন, দাঙ্গা পুলিশের সামনেই সহিংসতা সৃষ্টিকারীরা ঘরবাড়িতে আগুন দিয়েছে৷ তাই পরিস্থিতি শান্ত করতে তারা প্রেসিডেন্ট তেইন সেইনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন৷
শরণার্থী শিবির
দাঙ্গা শুরুর পর মুসলিম শরণার্থীরা এই শিবিরে এসে আশ্রয় গ্রহণ করেছে৷
গত বছরের দাঙ্গা
এটি গত বছরের দাঙ্গার ছবি৷ সেসময় বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হামলার শিকার হয়েছিল রোহিঙ্গা মুসলমানরা৷ এতে অনেকের প্রাণও গেছে৷
শঙ্কায় রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ!
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের কাছে খাবার-ওষুধপত্র নিয়ে যেতে দিচ্ছে না মিয়ানমার সরকার৷ এক বিবৃতিতে সংস্থাটি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছে৷