1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষ

১৩ অক্টোবর ২০১৬

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠী এবং নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছে৷ এর মধ্যে ১৩ জন নিরাপত্তাকর্মী৷ দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, বাংলাদেশ সীমান্তে পুলিশকে হত্যার জেরই হামলা কারণ৷

https://p.dw.com/p/2RB0T
Myanmar Polizeikräfte suchen Angreifer nah der Grenze zu Bangladesch
ছবি: Getty Images/AFP

গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অং সান সুচি জয়ী হওয়ার পর এই প্রথম রোহিঙ্গা ও নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে এত বড় সংঘাতের ঘটনা ঘটল৷ ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকালে৷ নিরাপত্তাবাহিনী বলছে, সেদিন সশস্ত্র রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সীমান্তের তিনটি পুলিশ ঘাঁটিতে হামলা চালায়৷ এতে মিয়ানমারের ৯ বর্ডার পুলিশ নিহত হয়, আহত হয় পাঁচ জন৷ এ সময় বেশ কিছু অস্ত্র এবং ১০ হাজার রাউন্ড গুলি নিয়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা৷

এরপরই রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের শহর মাউঙ্গদাওয়ে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী এবং পুলিশ৷ তিনশ' মানুষের সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে৷ হামলাকারীরা পিস্তল, তলোয়ার এবং ছুরি নিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করা হয়৷

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, এই সংঘাতের ফলে গৃহহীন সাধারণ রোহিঙ্গারা হামলার শিকার হবে৷ বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র ‘গ্লোবাল নিউ লাইট'কে দেয়া সাক্ষাৎকারে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি দাবি করেছেন, তাঁর সরকার সেখানে আইন প্রতিষ্ঠার জন্য হামলাকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাধ্য হচ্ছে৷

 

জানিয়েছেন, কারা এই হামলা চালিয়েছে সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত নয় কর্তৃপক্ষ৷ সেনাবাহিনীর সংবাদপত্র ‘মিয়াওয়াদি' জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে কিয়েটিয়োপিন গ্রামে ১০ হামলাকারী নিহত হয়৷ তাদের অস্ত্রশস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ অন্যদিকে বুধবার স্বশস্ত্র হামলাকারীরা ২৫টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়৷ এছাড়া তারা কিয়েটিয়োপিন গ্রামের বর্ডার পুলিশ কোয়ার্টারেও হামলা চালায়৷

রবিবার থেকে এখন পর্যন্ত ১৩ নিরাপত্তাকর্মী সহ নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ জন৷ স্থানীয় এক ব্যক্তি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান, নিহত ২৬ জনের মধ্যে সাধারণ মানুষও ছিল, যাদের হাতে অস্ত্র ছিল না, কিন্তু সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেখে ভয়ে পালানোর সময় তারা নিহত হয়৷ এছাড়া আরও চারজনকে আটক করে নিরাপত্তাবাহিনী৷ আটক ওই মুসলিম ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে৷

মানবাধিকার সংস্থা ফর্টিফাই রাইটস বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসব এলাকায় বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে এবং মিয়ানমারের সরকারকে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষকে রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে তারা৷

২০১২ সাল থেকে রোহিঙ্গা ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে৷ রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আজও অবস্থান করছে ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ৷ তাদের চলাফেরায় অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে৷ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে না তারা৷

এপিবি/এসিবি (এপি, রয়টার্স)

 

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য