মিয়ানমারকে ‘সঠিক' তদন্তের তাগিদ জাতিসংঘের
২ মে ২০১৮সফর শেষে রোহিঙ্গা পরিস্থিতিকে মানবিক এবং মানবাধিকারের সংকট হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা৷ পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ‘সঠিক' তদন্তের ব্যাপারেও মিয়ানমারকে তাগিদ দিয়েছেন তাঁরা৷
জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের দূত কারেন পিয়ার্স বলেন, রাখাইনে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে তা জানতে সঠিক তদন্ত করতে হবে৷ কাজটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি করতে পারে, কিংবা মিয়ানমার নিজেই তদন্ত করতে পারে৷
জাতিসংঘের সবচেয়ে ক্ষমতাধর পর্ষদ হিসেবে বিবেচিত নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ দেশের প্রতিনিধিসহ ৪০ সদস্যের একটি দল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখেন৷ সোমবার ঢাকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন তাঁরা৷
ওইদিনই ঢাকা ছেড়ে মিয়ানমার যাওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিনিধি দল বলে, ‘‘সমাধান না করে এই সমস্যা এভাবে ফেলে রাখা যায় না৷''
প্রতিনিধি দলের পক্ষে কুয়েতের স্থায়ী প্রতিনিধি মনসুর আয়াদ আল-ওতাইবি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘‘যে বার্তা আমরা মিয়ানমার, রোহিঙ্গা শরণার্থী আর পুরো বিশ্বকে দিতে চাই, তা হল এই সংকটের অবসান ঘটাতে এবং সমাধানের একটি পথ খুঁজে বের করতে আমরা বদ্ধপরিকর৷''
এরপর মিয়ানমার গিয়েদেশটির নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চির সাথে বৈঠক করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা৷ বৈঠকে উপস্থিত ঐ দলের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করে রয়টার্সকে বলেন, ‘‘ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সু চি বলেছেন, কয়েক দশক ধরে চলা সামরিক শাসনের পর গণতন্ত্র আসলেও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মিয়ানমারকে কিছুটা সংকটের মুখে পড়তে হচ্ছে৷''
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধান মিন অং লায়িং এর সাথেও বৈঠক করেছে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল৷ তিনি জাতিসংঘ প্রতিনিধিদলকে হত্যা, লুণ্ঠন ও ধর্ষণের ব্যাপারে প্রমাণ পেলে ‘কঠোর ব্যবস্থা' নিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন৷
এইচআই/জেডএইচ (রয়টার্স, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)