‘মিস ইউনিভার্স’ হলেন ফরাসি সুন্দরী ইরিস
ফিলিপাইন্সে আয়োজিত এবারের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগী ছিল মোট ৮৬ জন৷ সেখান থেকে ৮৫ জনকে পিছনে ফেলে সেরা সুন্দরীর খেতাবটা উঠে এলো ডেন্টাল সার্জারির ছাত্রী ফুলের মতোই সুন্দরী ইরিস মিতনেয়ার-এর মাথায়৷
এক অবিশ্বাস্য ঘটনা
৮৫ প্রতিযোগীকে পিছনে ফেলে মিস ইউনিভার্স ২০১৭-র মুকুটটি পরেছেন ফ্রান্সের ইরিস মিতনেয়ার৷ ফুলের নামে নাম৷ তাই হয়ত ফুলের মতোই সুন্দর লাগছিল ইরিসকে৷ তারপরও দ্বিতীয় রানার্স-আপ কলম্বিয়ার আন্দ্রেয়া তোভার ও প্রথম রানার্স-আপ হাইতির রাকেল পেলিসিয়েরের পরে যখন বিচারকরা ‘মিস ফ্রান্স-’এর নাম উচ্চারণ করলো, প্রথমটায় নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারেননি ২৩ বছর বয়সি ইরিস৷
রাজনীতির ছোঁয়া
প্রতিযোগিতার একেবারে চূড়ান্ত পর্বে বিশ্বের চলমান রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়৷ শরণার্থী বা উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়ে জানতে চাওয়া হয় প্রতিযোগীদের কাছে৷ উত্তরে ‘ওপেন বর্ডার’ বা উন্মুক্ত সীমানার কথা বলেন ইরিস৷ বলেন, ‘‘ফ্রান্স বিশ্বায়নের পথে চলার চেষ্টা করছে৷ আমরা চাইছি দেশের সীমানা উন্মুক্ত থাকুক, মানুষের মধ্যে আদান-প্রদান হোক৷ আমরা অন্তত বিশ্বের কোথায় কী হচ্ছে, জানতে পারছি, বুঝতে পারছি, করছি আলোচনা৷’’
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সুন্দরী
তবে ইরিস একা নন, প্রথম রানার্স-আপ ২৫ বছর বয়সি রাকেল পেলিসিয়ের ও দ্বিতীয় রানার্স-আপ ২৩ বছর বয়সি আন্দ্রেয়া তোভারের বক্তব্যেও ছিল রাজনীতির ছোঁয়া৷ ২০১০ সালে হাইতির ভয়াবহ ভূমিকম্পের কথা তুলে ধরেন রাকেল৷ আর কলম্বিয়ান সুন্দরীকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, বিশ্বে এত সহিংসতা কেন? তিনি বিশ্বনেতাদের সমালোচনা করেন৷ এমনকি নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি আন্দ্রেয়া তোভারে৷
ভবিষ্যতের স্বপ্ন
নতুন মিস ইউনিভার্স অবশ্য প্রথম থেকেই দর্শকদের মন কেড়ে নেন৷ ভবিষ্যতে কী করতে চান? এ প্রশ্ন শুনে সঙ্গে সঙ্গেই ঝলমল করে হেসে ওঠেন ডেন্টাল সার্জারির ছাত্রী ইরিস মিতনেয়ার৷ তারপর ধীরে ধীরে নিজের ইচ্ছার কথা তুলে ধরেন৷ বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে আমি দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্যের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে চাই৷’’ মঞ্চে তাঁকে ওভাবে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখে করতালির ঝড় ওঠে, যা শুনে আবারো খিলখিলিয়ে হেসে ওঠেন ইরিস৷
ক্রাউনিং মোমেন্ট
ইরিস মিতনেয়ারকে মিস ইউনিভার্সের মুকুটটি পরিয়ে দেন গতবারের মিস ইউনিভার্স জার্মানিতে জন্ম নেওয়া ফিলিপাইন্সের অভিনেত্রী ও মডেল পিয়া আলোন্সো ভুর্টৎসবাখ৷ গত বছর উপস্থাপক স্টিভ হার্ভি প্রথমে মিস ইউনিভার্স হিসেবে মিস কলম্বিয়া আরিয়াদনা গুটিয়েরেস আরেভালোর নাম ঘোষণা করেন৷ কয়েক মিনিট পরেই অবশ্য নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি৷ এবার অবশ্য ‘ক্রাউনিং মোমেন্ট’-এ কোনো গণ্ডগোল হয়নি৷
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী