1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
খেলাধুলাসাউথ আফ্রিকা

ডেভিড মিলার একাই ১০১, সাউথ আফ্রিকা ২১২

অম্লান মোসতাকিম হোসেন
১৬ নভেম্বর ২০২৩

ইডেন গার্ডেনসে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৪৯.৪ ওভারে ২১২ রানে অলআউট হয়েছে সাউথ আফ্রিকা। ২১২ রানে শুধু ডেভিড মিলারের ব্যাট থেকেই এসেছে ১০১ রান!

https://p.dw.com/p/4Ysen
ব্যাট করছেন ডেভিড মিলার
ব্যাট করছেন ডেভিড মিলারছবি: Andrew Boyers/REUTERS

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে কলকাতার আকাশ সকাল থেকেই মেঘে ঢাকা। ম্যাচ শুরুর আগেও উইকেট ঢাকা ছিল কাভারে। টস হলো সময়মতোই, মেঘলা আবহাওয়ার পরও সাউথ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স জানালেন, তিনিও আগে ব্যাট করতেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টসে হারাটাই কামিন্সের জন্য হয়ে গেছে শাপে বর।

কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে অসিদের স্বপ্নের শুরু এনে দেন মিচেল স্টার্ক। বাভুমা বলছিলেন, তিনি এই ম্যাচের আগে শতভাগ ফিট ছিলেন না। প্রথম ওভারেই স্টার্কের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক, কোনো রান না করেই।

তবে আফ্রিকা সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছে ষষ্ঠ ওভারে। কুইন্টন ডি কক এই বিশ্বকাপে দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন৷ আজও তার ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে ছিল দল। কিন্তু জশ হ্যাজলউডকে উড়িয়ে মারতে গেলেন, মিড অনে থেকে দৌড়ে দারুণ এক ক্যাচ নিলেন কামিন্স। ডি কক ফিরলেন ৩ রানে।

আফ্রিকাকে এতটাই বেঁধে রেখেছিলেন স্টার্ক-হ্যাজলউড যে, প্রোটিয়াদের প্রথম বাউন্ডারি পেতে অপেক্ষা করতে হলো নবম ওভার পর্যন্ত। সেটা যার ব্যাট থেকে এলো, সেই এইডেন মার্করামও টিকলেন না বেশিক্ষণ। স্টার্কের বলে আউটসাইড এজ হয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ডেভিড ওয়ার্নারকে ক্যাচ দিলেন ১০ রানে। পরের ওভারে রেসি ভ্যান ডার ডুসেনের ৬ রানের সংগ্রামী ইনিংসটাও শেষ হলো হ্যাজলউডের বলে ক্যাচ দিয়ে। ২৪ রানে ৪ উইকেট নেই প্রোটিয়াদের, ইডেনের মতো তাদের আকাশেও মেঘের ঘনঘটা।

সেই মেঘ আর বৃষ্টি হয়ে আসেনি বা বলা ভালো আসতে দেননি হেইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। পঞ্চম উইকেটে দুজন যোগ করলেন ৯৫ রান। নিয়মিত স্পিনার জাম্পা, অনিয়মিত স্পিনার ম্যাক্সওয়েল, পেসার স্টার্ক, হ্যাজলউড বা নিজে চেষ্টা করে শেষ পর্যন্ত ট্রাভিস হেডকে নিয়ে এলেন কামিন্স। প্রথম ওভারেই বাজিমাত হেডের, বোল্ড হয়ে ফিরলেন ক্লাসেন ৪৭ রান করে। পরের বলেই মার্কো ইয়ানসেনকে এলবিডাব্লিউতে ফেরালেন হেড, জাগালেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। সেটা না হলেও আফ্রিকার বড় স্কোর গড়ার সম্ভাবনা ভেস্তে দিয়েছেন হেডই।

তারপরও আফ্রিকার রান ২১২ পর্যন্ত যাওয়ার কৃতিত্ব মূলত মিলারের। টেল এন্ডারদের নিয়ে লড়ে গেছেন শেষ পর্যন্ত, ১১৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ার পর তাদের নিয়ে যোগ করেছেন ৮৪ রান। আফ্রিকার রান আরও বেশি হতে পারতো জেরাল্ড কোটজিয়া রিভিউ নিলে। বল তার কাঁধে লাগলেও আউট দেন আম্পায়ার, কিন্তু রিভিউ না নিয়ে ফিরে গেছেন কোটজিয়া। তারপরও মিলার দায়িত্বশীল ব্যাট করে ৪৮তম ওভার পর্যন্ত ছিলেন। কামিন্সের বলে ছয় মেরে পেয়েছেন  সেঞ্চুরি, কিন্তু এরপরেই সেই কামিন্সের বলেই আউট হয়ে গেছেন ১১৬ বলে ১০১ রান করে।তবে বিশ্বকাপ নকআউটে সাউথ আফ্রিকার হয়ে প্রথম সেঞ্চুরিটা করে একটু হলেও জ্বালিয়ে রেখেছেন আশার আলো।

((সংক্ষিপ্ত স্কোর :

সাউথ আফ্রিকা ৪৯.৪ ওভারে ২১২ (মিলার ১০১, ক্লাসেন ৪৭; স্টার্ক ৩/৩৬, কামিন্স ৩/৫১, হ্যাজলউড ২/১২)