‘নগ্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা’
১১ আগস্ট ২০১৪মে মাসের ৩১ তারিখে মালয়েশিয়ার উত্তর পূর্বাঞ্চলের পেনাং দ্বীপে এই ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়৷ রিলে দৌড়, নৃত্য, শরীর আঁকাসহ নানা ধরনের প্রতিযোগিতা ছিল সেখানে৷ তবে অংশগ্রহণকারীদের কারো দেহেই আবরণ ছিল না৷ গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ঐ আয়োজনের একটি ভিডিও৷ সাথে সাথে ভাইরাল হয়ে যায় এবং মালয়েশিয়ায় নিন্দার ঝড় ওঠে৷ তারপরই সন্দেহভাজন ১৮ জনের তালিকা তৈরি করে মারয়েশিয়ার পুলিশ৷
বৃহস্পতিবার সন্দেহভাজনদের নাম ও ছবি প্রকাশ করেছে পুলিশ৷ সেই সাথে আটক করেছে এক সংগীত শিক্ষিকাকে৷ ‘‘পেনাং নুড স্পোর্টস গেমস ২০১৪'' নামের ভিডিওটি ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট ভিমিও-তে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে হৈ চৈ পড়ে যায় এবং পত্রিকার শিরোনামে চলে আসে৷ পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিওতে যাদের দেখা গেছে তারা এমন ভঙ্গি করেছিল, যা যেকোন মানবিক আচরণের লঙ্ঘন৷ ফলে অপরাধী সাব্যস্ত হলে তাঁদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এমনকি জরিমানা গুনতে হতে পারে৷
বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩৪ বছর বয়সি ঐ সংগীত শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ৷ এছাড়া ৫৭ বছরের অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষক ও সিঙ্গাপুরের এক নাগরিককেও খুঁজছে পুলিশ৷ কর্তৃপক্ষের ধারণা এই দুই ব্যক্তি ঐ ইভেন্টের আয়োজক৷ তবে ভিডিওটি ‘আপলোড' করা হয়েছে সিঙ্গাপুর থেকে৷ সন্দেহভাজন ১৫ জনের মধ্যে সাতজন মালয়েশিয়ার, চারজন সিঙ্গাপুরের, দুই জন মিয়ানমারের, একজন ফিলিপিন্স ও একজন ভারতের নাগরিক রয়েছেন৷
ঐ প্রতিযোগিতায় যে দলটি অংশ নিয়েছিল তাদের পারাপারকারী মাঝিদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ৷ ভিডিওতে দেখা গেছে চার নারী এবং ১৪ পুরুষের একটি দল পুরো শরীরে রং মেখে গ্যাংনাম স্টাইলে নাচছে৷ এছাড়া একটি পুরুষের উপর অন্য নারীরা চড়ে নৃত্য করছে৷ মালয়েশিয়ায় ৩ কোটি মানুষের মধ্যে ৬০ ভাগই মুসলিম৷ তবে এই ঘটনায় কেবল মুসলিম সম্প্রদায় নয়, সব ধর্মের মানুষই এর নিন্দা জানিয়েছেন৷
এপিবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)