‘মার্স এক্সপ্রেস’ ও ‘স্পিরিট’ মঙ্গলগ্রহে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে
২৯ জানুয়ারি ২০১০মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে ইদানিং কোন খবর চোখে পড়ছে না? শিরোনামে না এলেও সেখানে একাধিক অভিযান চালু আছে – পাওয়া যাচ্ছে নানা নতুন তথ্য৷ যেমন ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার ‘মার্স এক্সপ্রেস’ ইতিমধ্যে ৭,৭৭৭ বার মঙ্গলগ্রহ প্রদক্ষিণ করল৷ দিনটি ছিল ২৬শে জানুয়ারি৷ ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ‘মার্স এক্সপ্রেস’ মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথে রয়েছে এবং মূল্যবান তথ্য এবং উচ্চ মানের হাই ডেফিনিশন ছবি পাঠিয়ে চলেছে৷ ২০১২ সাল পর্যন্ত অভিযান চালু থাকার কথা৷ তবে আপাতত ২০১৪ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর কথা চলছে৷ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এবার ‘মার্স এক্সপ্রেস’ মঙ্গলগ্রহের সবচেয়ে বড় উপগ্রহ ‘ফোবোস’ এর খুব কাছাকাছি চলে আসবে৷ মাত্র ৫০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে ঐ যান ‘ফোবোস’এর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতা কতটা, তা মেপে দেখবে – যেমনটা এতকাল পর্যন্ত করা সম্ভব হয় নি৷ ঐ উপগ্রহ কোথা থেকে এসেছে, সেবিষয়েও তথ্য পাওয়ার আশা করছেন বিজ্ঞানীরা৷
অন্যদিকে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা ‘নাসা’ও মঙ্গলগ্রহে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে৷ তবে গত প্রায় ৬ বছর ধরে ‘স্পিরিট’ নামের যে রোবট যান মঙ্গলগ্রহের বুকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল, তার গতিবিধি অনেকটা কমাতে হবে৷ গত বছর নাসার বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন, যে স্পিরিটের আয়ু পুরোপুরি শেষ৷ কারণ এমন এক জায়গায় সেটি আটকে গিয়েছিল, যে সেখান থেকে তাকে বার করা যাচ্ছিল না, ৬টির মধ্যে একটি চাকাও অকেজো হয়ে গিয়েছিল৷ কিন্তু তেমনটা ঘটে নি – ‘স্পিরিট’এর অদম্য স্পিরিট বা প্রাণশক্তি কিন্তু কমে নি৷ অনেক চেষ্টার পর স্পিরিট ৫টি চাকার সাহায্যেই আবার কিছুটা চলাফেরা শুরু করেছে৷ এই সাফল্য ধরে রাখতে আপাতত মঙ্গলগ্রহের মারাত্মক শীতের কারণে স্পিরিটকে কিছুটা বিশ্রাম দেওয়া হবে৷ শীতের সময়ে যথেষ্ট সৌরশক্তিও পাওয়া কঠিন৷ ফলে পৃথিবীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখাও কঠিন হবে৷ দাঁড়িয়ে থাকলেও কিছু কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারবে স্পিরিট৷ শুধু তাই নয়, চলমান অবস্থায় যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায় না, এবার একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ধৈর্য ধরে সেগুলি করতে পারবে স্পিরিট৷ সবকিছু ঠিকমতো চললে স্পিরিট আরও কয়েক মাস বা কয়েক বছর ধরে চালু থাকবে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা.আব্দুল্লাহ আল ফারূক