যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার হলো বাংলাদেশি
৪ অক্টোবর ২০১৬২৪ বছর বয়সি দাসকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়৷ এফবিআই-এর এক গোপন সংবাদদাতা দাসের গ্রেপ্তারে ভূমিকা রেখেছেন৷ নিজের মতোই ঐ সংবাদদাতাও আইএস-এর কর্মকাণ্ড সমর্থন করেন বলে মনে করেছিলেন দাস৷ তাই ‘মার্কিন এক সেনাকে হত্যার' ইচ্ছার কথা এফবিআই-এর সংবাদদাতাকে জানিয়েছিলেন দাস৷
এফবিআই-এর ঐ সংবাদদাতা একদিন দাসকে জানান যে, তাঁর কাছে মার্কিন এক সেনার উপর হামলার পরিকল্পনার তথ্য আছে৷ তখন দাস ঐ হামলায় সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেন বলে আদালতের নথিপত্রে অভিযোগ করা হয়েছে৷ দাস ভেবেছিলেন, হামলা চালাতে পারলে ঐ সংবাদদাতার ইরাকি সূত্রের কাছ থেকে ৮০ হাজার ডলার পাওয়া যাবে৷
এই ভেবে দাস একটি বন্দুকে গুলি ভরে ঐ সংবাদদাতার সঙ্গে শুক্রবার নির্ধারিত একটি স্থানে গিয়েছিলেন৷ সেখানেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ এরপর সোমবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়৷ পরবর্তী শুনানি হবে বৃহস্পতিবার৷
২০১৫ সালের শেষদিক থেকে ২০১৬ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত নিজের সামাজিক মাধ্যমে আইএস-এর প্রতি সমর্থন জানান দাস৷ প্যারিস, স্যান ব্যার্নার্ডিনো ও ক্যালিফোর্নিয়ায় আইএস এর হামলার প্রতিও সমর্থন জানান তিনি৷ এছাড়া বন্দুক রাখার অনুমতি পেতে একটি ক্লাসে অংশগ্রহণ করেছিলেন ও আঙুলের ছাপ দিয়েছিলেন বলে আদালতের নথিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে৷
যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে থাকার বৈধ অনুমতি আছে দাসের৷ চলতি বছরের মে মাসে এফবিআই-এর সংবাদদাতার সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ হয়৷
মেরিল্যান্ডের অ্যাটর্নির কার্যালয়ের মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, দাসের জন্য একজন বিচারক ঠিক করা হয়েছে৷ সোমবার সন্ধ্যায় এপি ঐ আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন৷
অভিযোগ প্রমাণিত হলে দাসের সর্বোচ্চ ২০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে৷
বাংলাদেশিদের এভাবে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া নিয়ে আপনার বক্তব্য কী? লিখুন নীচের ঘরে৷
জেডএইচ/এসিবি (এপি, রয়টার্স)