নিয়মের বেড়াজালে
২৮ এপ্রিল ২০১২এফবিআই, সিআইএ- হলিউডী মুভির কল্যাণে এসব নামের সঙ্গে অনেকেই পরিচিত৷ কিন্তু ইউএস সিক্রেট সার্ভিস, এই সংস্থাটির কথা খুব কম লোকই জানে৷ গভীর জলের এই সিক্রেট সার্ভিস হঠাৎ করেই যেন ভেসে উঠলো৷ তাও যৌন কেলেঙ্কারির জের ধরে৷
গত ১৩ এপ্রিল তাদের যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কলম্বিয়া সফরের আগমুহুর্তে বেশ কিছু সিক্রেট সার্ভিস সদস্য সেখানে গিয়েছিলেন৷ আর ধনী দেশের মানুষ গরীব দেশে গেলে সেখানকার সব কিছুই তাদের জন্য সস্তা৷ পকেট ভর্তি ডলার নিয়ে সিক্রেট সার্ভিস সদস্যরা কারতাগেনার স্ট্রিপ ক্লাব আর বারে গিয়ে ফুর্তি করেছে৷ এরপর একে একে মোট ২১ জন পতিতাকে হোটেল রুমে নিয়ে গিয়ে সময় কাটিয়েছে৷ তাদের একজনের সঙ্গে গোল বাধার জের ধরে ঘটনার সূত্রপাত৷ আনলাকি থার্টিন এপ্রিল তাদের জন্য দুর্ভাগ্য বয়ে নিয়ে আসে৷ মিডিয়ায় ঘটনাটি চাউর হয়ে যায়৷
কান টানলে যেমন মাথা আসে, তেমনি এখন বের হচ্ছে সিক্রেট সার্ভিসের একের পর কেচ্ছা কাহিনী৷ শুরুতে মার্কিন কর্তৃপক্ষ কলম্বিয়ার ঘটনাটিকে বিচ্ছিন্ন বলে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করে৷ এখন শোনা যাচ্ছে, গত বছর এল সালভাদরেও নাকি এমন ঘটনা ঘটিয়েছে সিক্রেট সার্ভিসের চৌকস সদস্যরা৷ সেটা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছেন সিক্রেট সার্ভিসের বড় কর্তারা৷
এই অবস্থাতে নতুন হুকুম জারি হলো৷ কর্তব্য শুরুর আগের ১০ ঘন্টায় কোন ধরণের অ্যালকোহল পান করা যাবে না৷ অপরিচিত কোন জায়গায় যাওয়া যাবে না৷ হোটেল কক্ষে নিয়ে আসা যাবে না বিদেশি কাউকে৷ এমনকি ভ্রমণে থাকা অবস্থাতেও মার্কিন আইন মেনে চলতে হবে সিক্রেট সার্ভিসকে৷ আর শিগগিরই শুরু হচ্ছে নৈতিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ৷
নতুন এইসব নীতিকথা কতটুকু আসলে কাজে আসবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে খোদ মার্কিন সেনেটর চাক গ্র্যাসলির৷ তিনি বলেন, কাগজের এইসব নিয়ম নীতির মাধ্যমে আগের ঘটনাকে অস্বীকার করা যাবে না৷ এদিকে কলাম্বিয়ার ঘটনায় মার্কিন ভাবমূর্তিতে যে চুণকালি পড়েছে তার তদন্তে সেখানে প্রতিনিধি দল পাঠাতে চান প্রতিনিধি পরিষদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির প্রধান পিটার কিং৷ তিনি জানান, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই দল পাঠানো হতে পারে৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম (রয়টার্স, এপি, এএফপি)
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়