নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ
১০ নভেম্বর ২০২০মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল যত স্পষ্ট হচ্ছিলো, ডনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক টুইট নাকচ করে দিচ্ছিল সেই ফলাফল৷ বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও নির্বাচনে পরাজিত রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের বক্তব্য, ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে এবং আসলে নির্বাচনে তিনিই জয়লাভ করেছেন৷
এই দাবির রেশ ধরেই সোমবার মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার কেন্দ্রীয় আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন ভোট গণনায় অস্বাভাবিকতার তদন্ত করতে৷ সবকটি ভোট গণনা সরকারিভাবে শেষ হবার আগেই এমন নির্দেশ দিলেন তিনি, যা অ্যামেরিকার প্রচলিত কেন্দ্রীয় নীতির বিপরীত৷
দেশজুড়ে বিভিন্ন অ্যাটর্নিদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠিতে উইলিয়াম বার লেখেন, ‘‘যেহেতু আমাদের ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, তাই আমি নির্বাচনের ফলাফল সরকারিভাবে ঘোষণার আগেই ভোটসংক্রান্ত অস্বাভাবিকতার তদন্ত করবার এক্তিয়ার আপনাদের দিচ্ছি৷ যদি এমন কোনো গুরুতর অস্বাভাবিকতার অভিযোগ এসে থাকে, যা কোনো রাজ্যে নির্বাচনের ফলাফল বদলে দিতে পারবে বলে আপনাদের ধারণা, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তদন্ত ও পর্যালোচনা করা যেতে পারে৷’’
আইনবহির্ভূত পদক্ষেপ?
নির্বাচনের ফলাফল ও ভোট গণনা বিষয়ে তদন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত পুরোটাই থাকে রাজ্যের নিজস্ব এক্তিয়ারে৷ ভোট গণনা সম্পূর্ণ শেষ হওয়া ও ফলাফল নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করাই বিচার বিভাগের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে৷ কিন্তু উইলিয়াম বার এবিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন৷
তিনি বলেন, ‘‘এতদিন ধরে চলে আসা রীতিগুলি আসলে কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নয়৷’’ ফলে যদি তদন্তকারীদের মনে হয় যে নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেবার মতো কিছু আছে, সেক্ষেত্রে তাদের সেই উদ্দেশ্যেই কাজ করা উচিত৷
বার আরও বলেন, ‘‘গুরুতর অভিযোগকে সাবধানতার সাথে পরিচালনা করতে হবে, এবং আন্দাজ ও নিছক ধারণার ওপর ভিত্তি করে ওঠা অভিযোগ কখনোই কেন্দ্রীয় তদন্তে জায়গা পাবে না৷’’
বারের চিঠি প্রকাশ্যে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিচার বিভাগের নির্বাচনি অপরাধ দপ্তরের প্রধান রিচার্ড পিলগার পদত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস৷
ডনাল্ড ট্রাম্প কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন, যা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে৷ কিন্তু মিচ ম্যাককনেলসহ একাধিক রিপাবলিকান নেতৃত্বের মত, এই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানাবার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে ডনাল্ড ট্রাম্পের৷
এসএস/কেএম (এএফপি, এপি, রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক টাইমস)