সিআইএ স্টেশন প্রধানকে নির্দেশ
১১ জুলাই ২০১৪মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএ-র তৎপরতা সম্পর্কে গত বছরই জেনেছিল জার্মানির সাধারণ মানুষ৷ এনএসএ এজেন্ট এডওয়ার্ড স্নোডেনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ শীর্ষ রাজনীতিবিদদের উপর গোপনে নজর রাখছিল মার্কিন গোয়েন্দারা৷ এমনকি তাঁদের মোবাইলে আড়াপাতা হয়েছে বলেও জানান স্নোডেন৷
বন্ধু রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ রকম আচরণে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হন জার্মান রাজনীতিবিদরা৷ তবে বিষয়টির প্রতিবাদে কার্যত কোনো উদ্যোগ এতকাল দেখা যায়নি৷ বৃহস্পতিবার নাটকীয়ভাবে সিআইএ স্টেশন প্রধানকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় জার্মান সরকার৷
সরকারের মুখপাত্র স্টেফেন সিবার্ট এক বিবৃতিতে জানান, ‘‘বার্লিনের মার্কিন দূতাবাসে অবস্থানরত মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে জার্মানি ত্যাগ করতে বলা হয়েছে৷'' জার্মান সরকার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নিয়েছে বলেও জানান তিনি৷
এদিকে, মার্কিন গোয়েন্দারা জার্মানি সম্পর্কে গোপনে যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, সেগুলো হাস্যকর পর্যায়ের বলে মন্তব্য করেছেন জার্মানির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা৷ তবে এভাবে তথ্য সংগ্রহের রাজনৈতিক ক্ষতি মারাত্মক বলে জানিয়েছেন তিনি৷
গত দশদিনে দু'টি ভিন্ন মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার এবং অপর একজন মানুষের বিরুদ্ধে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার চর সন্দেহে তদন্ত চলছে৷ জার্মান গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই দুই ব্যক্তি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাকে গোপনে তথ্য সরবরাহ করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷
জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস দেমেজিয়ের জানিয়েছেন, এ ধরনের তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্য এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত তা এখনো পরিষ্কার নয়৷ তবে এই বিষয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে৷
তিনি বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত আমরা যতটা জানি, বিষয়টি যদি এখানেই স্থির থাকে তাহলে বলা যায় যে, সন্দেহভাজন গোয়েন্দাদের সংগৃহীত তথ্যগুলো ‘হাস্যকর' পর্যায়ের৷'' তবে এভাবে তথ্য সংগ্রহের রাজনৈতিক ক্ষতি মারাত্মক বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
প্রসঙ্গত, জার্মানির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা দেমেজিয়ের-এর উত্তরসূরি ছিলেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী ভল্ফগাং শয়েবলে৷ এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, মার্কিন গোয়েন্দাদের গোপন গুপ্তরচরবৃত্তির কথা জেনে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল মোটেই ‘আমোদিত' নন৷
এআই/ডিজি (এপি, ডিপিএ)