মামুনুল-ফয়জুলের বক্তব্যে ‘উৎসাহিত হয়ে' ভাস্কর্য ভাঙচুর
৬ ডিসেম্বর ২০২০এর আগে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করার অভিযোগে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে৷ এদের দুজন মাদ্রাসার শিক্ষক ও দুজন মাদ্রাসার ছাত্র৷ এরা হলেন, কুষ্টিয়া শহরের জগতি পশ্চিমপাড়া এলাকার ইবনি মাসউদ (রা.) মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আল আমিন (২৭) ও মো. ইফসুফ আলী (২৬) এবং একই মাদ্রাসার ছাত্র মো. আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯), এবং দৌলতপুর উপজেলার মো. সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০)৷ রোববার বিকেল সাড়ে তিনটায় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার মুহিদ উদ্দীন এসব তথ্য জানান৷
পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, মাওলানা মামুনুল হক ও সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে শুক্রবার রাতে আবু বক্কর ও সবুজ ইসলাম বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছেন৷
মাদ্রাসা থেকে হেঁটে দুই ছাত্র পাঁচ রাস্তার মোড়ে যান৷ বাঁশের মই বেয়ে দু'জন ওপরে ওঠেন এবং পিঠে থাকা ব্যাগ থেকে হাতুড়ি বের করেন সবুজ৷ এরপর দু'জন মিলে ভাঙচুর করেন ভাস্কর্য৷ প্রায় ৮ মিনিট ধরে ভাঙচুর করেন তারা৷ এরপর হেঁটে ফেরেন মাদ্রাসায়৷
পরদিন সকালে বিষয়টি তারা মাদ্রাসার শিক্ষক আল আমিন ও ইফসুফকে অবহিত করলে শিক্ষকরা তাদের পালিয়ে যেতে বলেন৷ দুই ছাত্র নিজ নিজ বাড়িতে চলে যান৷ এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে তাদের৷
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দীন বাদী হয়ে শহরের মডেল থানায় মামলা করেন৷ চার ব্যক্তিকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে৷
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান-কামাল রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের চারজনের গ্রেফতারের খবর জানান৷
আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তার সরকারি বাসভবন থেকে যোগ দিয়ে বলেন, ‘‘এখনো দলের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছি৷ আবারও বাড়াবাড়ি করলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা ঘরে বসে থাকবে না৷''
জেডএ/এআই (প্রথম আলো, বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর)