মানুষের স্মৃতিশক্তির বারোটা বাজাচ্ছে গুগল
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১০‘দ্যা শ্যালোস: হোয়াট দ্যা ইন্টারনেট ইজ ডুয়িং টু আওয়ার ব্রেইনস' বইয়ের লেখক নিকোলাস কার৷ তাঁর দাবি, ইন্টারনেট জগত আমাদের মস্তিষ্কের অংশবিশেষকে নিত্যদিনের স্বাভাবিক কাজকর্ম থেকে বঞ্চিত রাখছে৷ এর কারণ হচ্ছে খোঁজ সেবার সহজলভ্যতা৷
লেখালেখির পাশাপাশি ব্লগসাইট রাফটাইপ ডটকম পরিচালনা করেন নিকোলাস৷ তাঁর মতে, গুগলের মতো সাইটগুলোর ব্যবহার প্রণালি আরো জটিল করা উচিত৷ কিন্তু হচ্ছে তার উল্টোটা৷ কেননা, সফটওয়্যার নির্মাতারা দিনে দিনে এসবের ব্যবহার প্রণালি সহজ থেকে সহজতর করে তুলছেন৷
গুগলের নতুন সেবা ‘গুগল ইন্সট্যান্ট' চালুর পরপরই এমন মন্তব্য করলেন নিকোলাস৷ গুগল তার খোঁজাখুঁজির সেবাকে এখন এতটাই সহজ করেছে যে, কাঙ্খিত শব্দ লেখা শেষ হবার আগেই হাজির হয় খোঁজের বিষয়বস্তু৷ ফলে কোন কিছু খুঁজতে মানুষের মস্তিষ্ক এখন আর আগের মতো কাজ করার সুযোগ পায়না৷
কিছুক্ষেত্রে অবশ্য গুগলের প্রশংসাও করেন নিকোলাস কার৷ কিন্তু প্রখ্যাত এই লেখকের মতে, গুগল আমাদেরকে স্মৃতিশক্তি ব্যবহার করা থেকে দূরে রাখতে চাইছে৷ কেননা, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র তথ্যও মুহূর্তেই খুঁজে দিচ্ছে সংস্থাটি৷
শুধু গুগল নয়, স্যাটেলাইটনির্ভর পথ নিদর্শক যন্ত্রেরও সমালোচনা করেছেন নিকোলাস৷ তিনি মনে করেন, মানুষ এখন দিনকয়েক আগে যে রাস্তা দিয়ে গিয়েছিল, তার কথাও মনে রাখতে পারেনা৷ কারণ মস্তিষ্কের রাস্তার স্মৃতি ধরে রাখার ক্ষমতা হ্রাস করছে জিপিএস প্রযুক্তি৷
অবশ্য নিকোলাসের এসব মন্তব্যে খুব একটা গুরুত্ব দিতে রাজি নয় গুগল৷ সংস্থাটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওয়েবে কোন কিছু খোঁজা এখন মানুষের নিত্যদিনের কাজের অংশ হয়ে উঠেছে৷ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তাদের হাজারো প্রশ্নের দ্রুত জবাব চায়৷
গুগল মানুষের নিত্যদিনের চাহিদাই মেটাচ্ছে৷ ফলে খোঁজাখুঁজি থেকে বেঁচে যাওয়া সময় অন্য কাজে লাগাতে পারে সাধারণ মানুষ৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন