মানুষের আনন্দ, জীবজন্তুর আতঙ্ক
বিভিন্ন রকম আতশবাজি পুড়িয়ে গোটা বিশ্ব ইংরেজি নববর্ষকে স্বাগত জানায়৷ বাজির শব্দ মানুষের জন্য আনন্দ বয়ে আনলেও পশু-পাখির জন্য যে তা যন্ত্রণাদায়ক, সেটা ভেবে দেখেছেন কি? ভেবেছেন শব্দদূষণেরও যে কারণ ‘ফায়ারওয়ার্কস’?
নিউ ইয়ার্স ইভ
প্রাণীদের কান যে খুবই সংবেদনশীল, তা আমরা অনেকেই জেনেছি কুকুরের আচরণ দেখে৷ আশেপাশের সামান্য শব্দেই কুকুরকে আমরা দেখেছি সতর্ক হয়ে যেতে৷ তবে শুধু কুকুর নয়, জোড়ে শব্দ হলে তা প্রায় সব প্রাণীর কানেই বিকট আওয়াজ বলে মনে হয়৷ আর তখন ওরা প্রচণ্ড ভয় পায়, হয় আতঙ্কিত৷
কুকুর এবং বেড়াল
কুকুর আর বেড়ালের কান খুবই সংবেদনশীল৷ ওদের জন্য বাসার এবং আলমারির দরজাগুলো খুলে রাখুন, যাতে প্রয়োজনে ওরা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নিতে পারে৷ তবে ওদের অন্য কোথাও নিয়ে না গিয়ে বাড়িতেই রাখবেন৷ তা না হলে কুকুর এবং বেড়াল আগে থেকেই আতঙ্কে থাকবে৷
পাখি বা ছোট প্রাণী
‘নিউ ইয়ার্স ইভ’ বা নতুন বছরকে বরণ করার আগেই পাখি বা ছোট প্রাণীদের জানালা বা দরজার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন৷ পর্দা টেনে দিন, ফেলে দিন ‘শাটার’৷ আরো ভালো হয় যদি আপনার পোষা পাখি বা প্রাণীটিকে হঠাৎ ভয় পাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে খাঁচার ওপর একটি তোয়ালে বা চাদর দিয়ে ঢেকে দেন৷
হালকা মিউজিক
বাড়িতে স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখুন৷ প্রয়োজনে হালকা ‘মিউজিক’ বা সংগীত চালিয়ে রাখতে পারেন, যাতে বাইরের বিকট শব্দগুলো সহজে ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে এবং পোষা প্রাণীর কাছে পরিবেশটা অন্যরকম মনে না হয়৷
পশু ডাক্তারের পরামর্শ
এরকম পরিস্থিতিতে পোষা প্রাণীকে শান্ত রাখার জন্য অনেকেই তাদের ঘুমের ওষুধ খাওয়ান৷ এক্ষেত্রে পশু ডাক্তারের পরামর্শ, ওষুধ সেবন করানোর তিন-চারদিন আগে থেকেই আপনার প্রিয় প্রাণীটিকে অ্যামিনো অ্যাসিড দেয়া উচিত৷ এতে করে তার শরীরে ঘুমের ওষুধ ধীরে ও ভালোভাবে কাজ করতে পারবে৷