মহামারিতে ধনীদের সম্পদ দ্বিগুণ, বেড়েছে গরিব
১৭ জানুয়ারি ২০২২দারিদ্র্যবিরোধী এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মত, ক্রমবর্ধমান বৈষম্য গোটা বিশ্বকে আরও বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস, মার্ক জুকারবার্গ এবং বিল গেটস বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন।
১০ ধনী ব্যক্তির মিলিত সম্পদ এই সময়ে ৭০০ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে দেড় ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে৷ দৈনিক বেড়েছে প্রায় ১১৩ কোটি ডলার৷ অথচ, মুদ্রার অন্য পিঠ দেখলে প্রায় ১৬ কোটি মানুষ পড়ে গেছেন গরিবের তালিকায়।
ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ভার্চুয়াল বৈঠকে উঠে এসেছে চরম এই বৈষম্যের কথা। অক্সফ্যামের রিপোর্ট বলছে, জাতিগত বৈষম্য, লিঙ্গবৈষম্য বেড়েছে। এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের দূরত্বও বাড়িয়েছে এই মহামারি।
এই রিপোর্টে উল্লিখিত ১০ জন ধনী ব্যক্তি হলেন টেসলা এবং স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক, অ্যামাজনের জেফ বেজোস, গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিন, ফেসবুকের মার্ক জুকারবার্গ, মাইক্রোসফটের সাবেক সিইও বিল গেটস এবং স্টিভ বলমার, ওরাকলের সাবেক সিইও ল্যারি এলিসন, মার্কিন বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট এবং ফরাসি অভিজাত গোষ্ঠীর এলভিএমএইচের প্রধান বার্নার্ড আর্নল্ট।
রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, আচমকা নয়, খুব সুনির্দিষ্টভাবে এই বৈষম্য ঘটেছে। অর্থনৈতিক বৈষম্যের সময় সবচেয়ে ধনী এবং ক্ষমতাবানদের জন্য কাঠামোগত নীতি বাছাই করা হয়। গরিব মানুষ, নারী, জাতিগত বৈষম্যের কারণে পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীরা এর ভুক্তভোগী।
অক্সফ্যাম ইন্টারন্যাশনালের এক্সিকিউটিভ অধিকর্তা গাব্রিয়েলা বুচের জানান, এই বৈষম্য রীতিমতো আপত্তিকর। এই বৈষম্যের হিংসাত্মক ভুলগুলোকে পাল্টা আঘাত করে সংশোধন করা এত গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। লোভ, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উপায়ে সুযোগসন্ধানী মনোবৃত্তি সবটা ধরা পড়েছে মহামারি আবহে। এই চরম অসাম্য অর্থনৈতিক হিংসার হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।
২০২০ সালের ছবিঘর
আরকেসি/কেএম (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)