মহাত্মা গান্ধীর জিনিসপত্র নিলামে বিক্রির বিরোধিতা
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯গান্ধীর প্র-পৌত্র তুষার গান্ধী এ ধরণের নিলামকে ভারতের স্বাধীনতার প্রাণ-পুরুষ মহাত্মা গান্ধীর প্রতি অপমানজনক বলে উল্লেখ করেছেন৷ গান্ধীর পাদুকা, পকেট ঘড়ি এবং কিছু থালা-বাসনসহ এ সব বিখ্যাত তৈজসপত্র আগামী মাসে নিউ ইয়র্কে নিলামে বিক্রির কথা রয়েছে৷
নিলাম আয়োজক প্রতিষ্ঠান আশা করছেন, এ জিনিসগুলোর মোট মূল্য ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ ডলার হবে৷ এসব মূল্যবান জিনিস বর্তমানে একজন জার্মান সংগ্রহকারীর কাছে রয়েছে৷ এগুলো তিনি গান্ধীর নাতনী গীতার কাছ থেকে পেয়েছেন৷ তুষার গান্ধী বলেছেন, তিনি ভারতবর্ষের গর্বের বিষয় – এসব মূল্যবান জিনিস ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করছেন৷
সাংসদ মোহন সিং এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এসব মূল্যবান জিনিসপত্র কিনে এনে জাদুঘরে সংরক্ষণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷
নতুন দিল্লীতে অবস্থিত গান্ধী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের মহাসচিব রামচন্দ্র রাহা বলেন, গান্ধীর ব্যবহৃত এসব জিনিসপত্র ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংগ্রহ করে রাখা দরকার যাতে তারা সেগুলো থেকে উৎসাহ ও উদ্দীপনা পেতে পারে৷
মুম্বই এ অবস্থিত মহাত্মা গান্ধী ফাউন্ডেশনের প্রধান তুষার গান্ধী বলেন, বর্তমান মালিকের কাছে এগুলো দেয়া হয়েছিল জাদুঘরে প্রদর্শনীর জন্য এবং এগুলো বিক্রির অনুমতি দেয়ার কোন নৈতিক অধিকার গীতার নেই৷ তিনি বলেন, গীতার এটা স্মরণ করা উচিত যে, তাঁর পিতা-মাতা কখনো এগুলো বিক্রি করে অর্থ উপার্জনের কথা চিন্তা করেননি বরং তাঁরা এগুলোকে সম্মানের সাথে পুজো করতেন৷
তুষার গান্ধী জানান যে, তিনি নিলামের আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘এ্যান্টিক্যুরাম অকশোনিয়ারস' কে ৫ মার্চ এর নিলাম আপাতত স্থগিত রাখার জন্য অনুরোধ করেছিলেন কিন্তু তারা এতে সম্মত হয়নি৷ তাই তিনি এসব জিনিস কিনে আনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করে চলেছেন৷ তবে তিনি আশংকা করছেন যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ অর্থ সংগ্রহ করা হয়তো সম্ভব হবে না৷
উল্লেখ্য, মহান পুরুষ মহাত্মা গান্ধী তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সফল জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন৷ ১৯৪৮ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার এক বছর পরে এক আততায়ীর গুলিতে তিনি নিহত হন৷