এসপিডি'র সঙ্গে ম্যার্কেলের সাক্ষাৎ
৭ জানুয়ারি ২০১৮বার্লিনে শুরু হয়েছে এই প্রাথমিক আলোচনা, যেখানে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল রবিবার সিএসইউ নেতা হোর্সট জেহোফার এবং এসপিডি নেতা মার্টিন শুলৎসের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন৷
বার্লিনে সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডি'র সদর দপ্তরে তিনটি দল থেকে ১৩ জন প্রতিনিধি নিয়ে শুরু হয়েছে এই আলোচনা৷ যেখানে মূলত আলোচনা হচ্ছে ‘নতুন মহাজোটের' চুক্তি ও শর্ত নিয়ে৷ আজ সন্ধ্যার মধ্যেই হয়ত তিনটি দল তাদের মূল দাবিগুলো তুলে ধরবে৷
গত বছরের সেপ্টেম্বরের সংসদ নির্বাচনের তিন মাস পর শুরু হলো এই আলোচনা৷ প্রথম দফায় ম্যার্কেল চেষ্টা করছিলেন এফডিপি এবং গ্রিন পার্টির সাথে জোট গঠন করতে, যা নভেম্বরে ব্যর্থ হয়৷ কেননা এফডিপি প্রধান ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার আলোচনা থেকে সরে আসেন৷
এরপর ম্যার্কেলের জন্য একটাই পথ খোলা ছিল৷ তাহলো এসপিডি'র সঙ্গে জোট৷ আর এসপিডি'ও এই সুযোগ হাতছাড়া করছে না৷
শুলৎস যখন সিদ্ধান্ত নিলেন সিডিইউ এর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করবেন, সেটা যেন তাঁর আগের অবস্থানের একেবারে বিপরীত ছিল৷ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে শুলৎস পেয়েছিলেন মাত্র ২০ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট, যা এসপিডি আগে কখনো পায়নি৷ তখনই শুলৎস জানিয়েছিলেন, তার দল ম্যার্কেলের সঙ্গে আগামী চার বছর কাজ করবে না৷
যদিও অনেকেই মনে করছেন ম্যার্কেলের সঙ্গে জোট বাঁধলে এসপিডি আগামীতে আরও ভোটার হারাবে৷
প্রাথমিক এই আলোচনায় শুলৎস তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন, যা ম্যার্কেলের সিডিইউ পার্টি এবং তাদের বাভেরিয়ান সহযোগী দল সিএসইউ এর জন্য কিছুটা বিপদ ডেকে আনতে পারে৷ যেমন, সবার জন্য বাধ্যতামূলত সরকারি স্বাস্থ্য সেবা এবং শরণার্থীদের পরিবারের সদস্যদের জার্মানিতে নিয়ে আসার অনুমতি দেয়া৷
এরপর ২১শে জানুয়ারি বন শহরে দলের সম্মেলনে এসপিডি ভোটাভুটি করে ঠিক করবে ম্যার্কেলের দলের সাথে তারা আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করবে কিনা৷ অর্থাৎ এসপিডি'র ৪ লাখ ৪০ হাজার সদস্য মহাজোটের অংশ হতে চায় কিনা সে বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হবে৷
তবে সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন ইস্টারের আগে যে জার্মানিতে কোন সরকার গঠন হচ্ছে না, সেটা প্রায় নিশ্চিত৷
এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, ডিপিএ)