1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জঙ্গিবাদ বিরোধী বার্তা

৮ আগস্ট ২০১২

বাংলাদেশে মসজিদে শুক্রবার সাপ্তাহিক প্রার্থনার সময় জঙ্গিবাদ বিরোধী বার্তা প্রচার করা হচ্ছে কিনা, তা পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ জঙ্গিবাদের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে একটি নীতিমালা আগেই তৈরি করে সরকার৷

https://p.dw.com/p/15lkJ
ছবি: AP

কয়েক মাস আগেই জঙ্গিবাদ বিরোধী বিশেষ নীতিমালা তৈরি করে সরকার৷ এরপর সেগুলো বিতরণ করা হয় বাংলাদেশে দু'লাখেরও বেশি মসজিদে৷ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামিম আহমেদ আফজাল বার্তাসংস্থা এএফপি'কে জানিয়েছেন এই তথ্য৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনে একটি জঙ্গিবাদ বিরোধী সেল স্থাপন করেছি৷ প্রতি সপ্তাহে আমাদের কর্মকর্তারা ঢাকার অন্তত দশটি মসজিদ পরিদর্শন করেন এবং ইমামরা শুক্রবারের নসিহতে জঙ্গিবাদের বিষয়টি উল্লেখ করছে কিনা, সেদিকে নজর রাখেন৷''  

শামিম আহমেদ জানান, অন্যান্য সরকারি সংস্থার সদস্যরা সারা দেশের বিভিন্ন মসজিদের দিকে নজর রাখছে৷ বিশেষ করে শুক্রবারের বক্তব্যে ইমামরা যাতে জঙ্গিবাদের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করেন, সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে৷

Sat Gommbuz Masjid, Moschee in Khulna, Bangladesch
শামিম আহমেদ বলেন, ‘‘আমরা সফলতার সঙ্গে ইমাম এবং ধর্মীয় শিক্ষকদের জঙ্গিবাদের ভয়ঙ্কর দিক সম্পর্কে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি৷ তারা এখন মওদুদী মতবাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে৷ এই মতবাদ উপমহাদেশের ইসলামকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে৷''ছবি: Harun Ur Rashid Swapan

বলাবাহুল্য, ২০০৪-২০০৫ সালে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে৷ তখন জঙ্গি হামলায় কয়েক ডজন মানুষ প্রাণ হারায়৷ সেসময় অনেকের মনেই ধারণা জন্মায় যে, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম মুসলিম প্রধান দেশটি সম্ভবত জঙ্গিবাদের আখড়ায় পরিণত হচ্ছে৷ বাংলাদেশের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী অবশ্য সেই ধারণা ভেঙে দিয়েছে৷ জঙ্গিবাদ বিরোধী সাড়াশি অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় এক হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে৷ এরপর ২০০৭ সালে একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের ছয় শীর্ষ নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়৷

শামিম আহমেদ বলেন, ‘‘আমরা সফলতার সঙ্গে ইমাম এবং ধর্মীয় শিক্ষকদের জঙ্গিবাদের ভয়ঙ্কর দিক সম্পর্কে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি৷ তারা এখন মওদুদী মতবাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে৷ এই মতবাদ উপমহাদেশের ইসলামকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে৷''

আবুল আলা মওদুদী ১৯৭৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন৷ তিনি ‘জামায়াতে ইসলামী' দল প্রতিষ্ঠা করেন৷ এই দলের বাংলাদেশ শাখা হচ্ছে সেদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামি রাজনৈতিক দল৷

উল্লেখ্য, বর্তমান হাসিনা সরকার ক্ষমতা গ্রহণের কয়েকমাস পরে ২০০৯ সালে ‘হিজবুত তাহরির' নামক একটি উগ্রবাদী ইসলামি দলকে নিষিদ্ধ করে৷ দেশের মধ্যে ‘অস্থিতিশীল' পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগে সেদলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়৷ বর্তমানে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতেও বিপুল অর্থ খরচ করছে সরকার৷

এআই / ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য